স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলে রাস্তা বানাতে নির্বিচারে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। শহরের শ্মশান ঘাট থেকে নাগরপুর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে থাকা প্রায় আড়াই হাজারের মতো গাছ কাটা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, মেহগনি ও বটসহ প্রাচীন ফলদ ও বনজ গাছ। পরিবেশবাদীদের দাবি, গাছ রেখেই উন্নয়ন প্রকল্পটি করা সম্ভব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটারের বেশি সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সড়ক বিভাগ। রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে কাটা পড়ছে ২ হাজার ৩৭৯টি ফলদ ও বনজ গাছ।
টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো সাড়ে ২৭ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, এরমধ্যে বেশকিছু গাছ শতবছর বাঁচে। বিকল্প উপায়ে অনায়াসে বাঁচানো যেত গাছগুলোকে।
এদিকে ৩৩ ফুট চওড়া রাস্তা হলে কত সংখ্যক গাছ লাগানো হবে, সে পরিকল্পনার বিষয়ে প্রকল্পে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
গাছগুলোর প্রকৃত বয়স এবং এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে। কিন্তু অফিসে বা টেলিফোনে পাওয়া যায়নি তকে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ.এস.এম সাইফুল্লাহ বলেন, গাছ কাটা এখনই বন্ধ করা উচিৎ। যে গাছগুলো ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে, সেখানে নতুন গাছ লাগানো উচিৎ। একইসাথে বাকি গাছগুলো রাস্তার মাঝে পড়লে সেগুলো আইল্যান্ডে রেখে পাশ দিয়ে ভিন্ন দুই লেন করা উচিৎ।
এএআর/
Leave a reply