‘ব্যবধানটা পরিষ্কার’, মেসি-হাল্যান্ডকে ঘিরে ব্যালন ডি’অর নিয়ে বিতর্ক

|

ছবি: সংগৃহীত

আর্লিং হাল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি জিতেছে পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তবে ফাইনালে অসাধারণ কিছু করতে পারেননি নরওয়েজিয়ান এই গোলমেশিন। আর তাতেই ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে লিওনেল মেসি সমর্থকরা উচ্চকণ্ঠে বলছেন, প্রয়োজনের মুহূর্তেই জ্বলে উঠতে পারেননি হাল্যান্ড। আর আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেসির মাস্টারক্লাসে। মেসি-হাল্যান্ডের ব্যবধানটা পরিষ্কার। তারা কোনোভাবেই এক নয়। স্পোর্টসকিডার খবর।

ইস্তাম্বুলে ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে ১-০ গোলের জয়ের ইউরোপ সেরার মুকুট মাথায় পরেছে পেপ গার্দিওলার ম্যান সিটি। ফাইনালের আলোচনায় সব সময়ই ছিলেন দলটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন আর্লিং হাল্যান্ড। সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে দারুণ পারফরমেন্স করলেও গোল পাননি এই ফরোয়ার্ড। ফাইনালে ইতালিয়ান ডিফেন্সে অনেকটাই বোতলবন্দি ছিলেন হাল্যান্ড। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অচেনা পারফর্ম করা হাল্যান্ডকে তাই মেসির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্ল্যাটফর্মের বিতর্ক।

মৌসুম জুড়ে ৫২ গোল করা হাল্যান্ড ফাইনালে টার্গেটে নিতে পেরেছেন মাত্র একটি শট, সম্পন্ন করতে পেরেছেন একটি মাত্র ড্রিবলিং। ৮টির মধ্যে মাত্র ৩টি পাস ঠিকঠাক জায়গায় দিতে পেরেছেন। গোলের একটি বড় সুযোগও মিস করেন ম্যান সিটির এই নাম্বার নাইন। এসব পরিসংখ্যানকে অস্ত্র বানিয়েই টুইটারে অনেকে বলছেন, কাতার বিশ্বকাপে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন লিওনেল মেসি। সমর্থকরা তাই আর্জেন্টাইন এই বিশ্বকাপ জয়ীকেই ব্যালন ডি’অরের প্রধান দাবিদার হিসেবে দেখেন।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে প্রথম মৌসুমেই গোলের রেকর্ডবুকে নতুন করে কাটাছেঁড়া করার উপলক্ষ এনে দিয়েছেন হাল্যান্ড। প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ার সাথে সাথে পুরো মৌসুমে ৫২ গোল করেছেন এই নাম্বার নাইন।

অন্যদিকে, পিএসজির হয়ে ৪১ ম্যাচে ২১ গোল ও ২০টি অ্যাসিস্ট আছে মেসির নামের পাশে। জিতেছেন লিগ ওয়ান শিরোপা। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে খালি হাতে ফিরলেও বিশ্বকাপ জয়ের কারণে মেসির সাথে অন্যদের তুলনায় পরিসংখ্যান খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন নাও করতে পারে। ইউরোপ ছেড়ে যাচ্ছেন ৭ বারের এই ব্যালন ডি’অর জয়ী। তাই ইউরোপিয়ান ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার যদি তার শেষ এবং ৮ম ব্যালন ডি’অর জিতেই যান, তবে অবাক হওয়ার খুব বেশি কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে, অপেক্ষা করার মতো যথেষ্ঠ সময় থাকবে হাল্যান্ডের হাতে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply