বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালে সিটি নির্বাচনে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও দুপুর হতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। হামলার অভিযোগ করেন, হাতপাখার মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিম। এ নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভোটের মাঠ। ইভিএমে ধীরগতি নিয়েও ভোটারদের মাঝে ছিলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে এরমধ্যেও আলাদা করে আলোচনায় ছিল বরিশাল সিটির বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ভোট দিতে না আসা।
এর আগে, মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর এক ভার্চুয়াল সভায় চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে সমর্থন দেয়ার কথা জানালেও, মহান মে দিবসে আলাদা অনুষ্ঠান করে দু’পক্ষ। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় দূরত্ব কমেনি তাদের। গত ২৬ মে প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই বরিশালের বাইরে অবস্থান করছেন সাদিক আব্দুল্লাহ। ভোটের দিনও তিনি বরিশালে ফেরেননি। এ নিয়ে ভোটের মাঠেও ছিল নানা আলোচনা।
অন্যদিকে, খায়ের আব্দুল্লাহর বড় ভাই আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার। ভোটের সময় তিনিও বরিশালে আসেননি।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে এবার সাদিক আব্দুল্লাহর চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ দেখা দেয়। চাচা-ভাতিজার সমর্থকদের মধ্যেও দৃশ্যমান হয় বিভেদ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নানা সময়ে এই বিভেদ কমানোর চেষ্টা করেছেন। তবে দু’পক্ষের অবিশ্বাস পুরোপুরি দূর হয়নি।
বিভেদ মিটেছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দেবো না, আমি স্যরি। একই সময়, বিগত মেয়র প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনা পরম্পরায় স্থানীয় রাজনীতিতে এ আলোচনাই প্রবল যে, ভাই-ভাতিজার সমর্থন ছাড়াই নির্বাচনে লড়তে হচ্ছে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে।
Leave a reply