ভারতে টুইটার পরিচালনা ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি। সোমবার (১২ জুন) ব্রেকিং পয়েন্ট নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তার এমন বক্তব্যে শুনে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন, দিল্লি সরকারের নির্দেশনা না মানলে টুইটার বন্ধের হুমকি আসতো। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের।
ইউটিউব পডকাস্টে দেয়া এই সাক্ষাৎকারে জ্যাক ডরসি বলেন, আমি যখন ভারতে কর্মরত ছিলাম, সেসময় চাপের মুখে কাজ করতে হতো। বিভিন্ন টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করার জন্য সংস্থাটির ওপর বহুবার চাপ সৃষ্টি করেছে ভারতীয় সরকার। নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না করলে টুইটার বন্ধেরও হুঁশিয়ারিও আসতো। একইসাথে টুইটার কর্মকর্তাদের বাড়িতে অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিতো দেশটির সরকার।
তিনি আরও বলেন, কোনো সাংবাদিক কিংবা কোনো রাজনীতিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে একাধিকবার চাপ প্রোয়োগ করেছে ভারত সরকার। সেই তথ্য দিতে রাজি না হলে একাধিকবার হুমকি দেয়া হয়েছে। আর এটাই হচ্ছে ভারত, একটি গণতান্ত্রিক দেশ!
অবশ্য ডরসির এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ডরসির অধীনে টুইটার বারবার ভারতের আইন ভেঙেছে। তবুও টুইটারের কোনো কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়নি। এমনকি মাইক্রো ভ্লগিং সাইটটিও বন্ধ করা হয়নি। তবে ডরসির এমন বক্তব্যের পর জোর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
এসজেড/
Leave a reply