অ্যামাজনে উদ্ধার ৪ শিশু: বিমান বিধ্বস্তের পরও বেঁচে ছিলেন মা, শিখিয়েছিলেন টিকে থাকার কৌশল

|

গত সম্প্রতি আরারাকুয়ারা থেকে গুয়ারাভিয়ারে প্রদেশে যাওয়ার পথে অ্যামাজনে বিধ্বস্ত হয় সেনা টু জিরো সিক্স বিমান। মা ও পাইলটসহ তিনজনের মৃত্যু হলেও বেঁচে যায় চার ভাইবোন। ৯ জুন তাদের উদ্ধার করা হয় গভীর জঙ্গল থেকে। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুদের মা ও পাইলটের মরদেহ। তবে বেঁচে ফেরা শিশুরা জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরও বেশ কয়েকদিন বেঁচে ছিলেন তাদের মা। খবর এপির।

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ৪ শিশু। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিশু লেসলি জ্যাকবোম্বায়ার মুকুটুয়ের বয়স ১৩ বছর। মায়ের বেঁচে থাকার খবর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে লেসলিই জানিয়েছে বাবাকে।

সাংবাদিকদেরকে শিশুদের বাবা ম্যানুয়েল রানোক জানান, লেসলি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরও ৪ দিন পর্যন্ত তাদের মা বেঁচে ছিলেন। তিনি ছিলেন মারাত্মক আহত। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সেখান থেকে পালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি বনের মধ্যে টিকে থাকার বিভিন্ন কলাকৌশলও শিখিয়ে দিয়েছিলেন সন্তানদের। তার পরামর্শ মেনেই জীবন বাঁচাতে এক সময় একটি গাছের কোটরে আশ্রয় নিয়েছিল তারা। বাকি ৩ ভাই-বোনকে আগলে রেখেছিল লেসলিই। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছুই জানাননি ম্যানুয়েল।

এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে শিশুদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। তবে এখনও স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে না তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১ মে আরারাকুয়ারা থেকে গুয়ারাভিয়ারে প্রদেশে যাওয়ার পথে অ্যামাজনে বিধ্বস্ত হয় সেসনা টু জিরো সিক্স বিমান। মা ও পাইলটসহ তিনজনের মৃত্যু হলেও কিছু আলামত দেখে চার ভাইবোনের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় উদ্ধারকারী দল। শিশুদের বয়স ছিল ১৩, ৯, ৪ ও ১ বছর। তাদের উদ্ধারে ঘন জঙ্গলের প্রায় ২ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অভিযানে অংশ নেয় দেড়শ সেনা ও ২০০ আদিবাসী স্বেচ্ছাসেবী। অবশেষে ৯ জুন গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply