বিশ্ব ক্রিকেটে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দাপট। তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি, অর্থের ছড়াছড়ি ও চাকচিক্যের দিক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গুরুত্ব পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো। ভারতের আইপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, পাকিস্তানের পিএসএল, উইন্ডিজের সিপিএল ও বাংলাদেশের বিপিএল এরইমধ্যে বিস্তার করেছে নিজেদের ক্রিকেটীয় প্রভাব। পরিস্থিতি এমনভাবে এগিয়ে চলছে যে ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের হয়ে খেলা ও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকায় অনীহা তৈরি হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর লাগাম টানতে নতুন নিয়ম বেধে দিচ্ছে আইসিসি। যেখানে প্রথম একাদশে এখন সর্বোচ্চ ৪ জন বিদেশি খেলতে পারবে লিগগুলোতে।
একই সাথে ক্রিকেটারদের মাধ্যমে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডও যেন আয় করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েও ভাবছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আগামী মাসেই এই নিয়মগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে আসার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। এরইমধ্যে কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ড ও ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়ের মতো ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর উদাহরণ দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। এমন অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তার ভাঁজ আইসিসির কপালে। তাইতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর লাগাম টানতে নতুন নিয়ম নিয়ে ভাবছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসির নয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৪ বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারবে দলগুলো। তবে এক্ষেত্রে শুধু টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দেশের ক্রিকেটারদের বিবেচনায় রাখবে আইসিসি। সহযোগী দেশের একাধিক ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজাতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। মূলত স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই নিয়ম সংস্থাটির।
কোনো নির্দিষ্ট দেশের ক্রিকেটারদের মাধ্যমে যেন সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডও আয় করতে পারে সে কারণে ক্রিকেটারদের সাথে চুক্তির মোট অঙ্কের ১০ শতাংশ সেই দেশের বোর্ডকে দেয়ার নিয়ম নিয়ে চিন্তা করেছে আইসিসি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলোও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। ২০১৮ সালে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সীমাবদ্ধতার নিয়মের প্রস্তাব করলেও, সেই সময়ে আমলে নেয়নি অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ড। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই নিয়মগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে বোর্ডগুলো।
আরআইএম/ইউএইচ/
Leave a reply