সুপেয় পানির তীব্র সংকটে খেরসন, ভরসা এখন বৃষ্টি

|

ইউএন নিউজ থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। চাহিদা মেটাতে স্থানীয়ভাবে অনেক জায়গাতেই চলছে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে সংরক্ষণের চেষ্টা। ইউক্রেনের অভিযোগ, ত্রাস ছড়াতেই বাঁধটি ধ্বংস করেছে রাশিয়া। খবর আলজাজিরার।

গত ৬ জুন খেরসনে নিপ্রো নদীর নোভা কাখোভ-কা বাঁধ ধ্বংসের পর অঞ্চলটিতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও দেখা দিয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। পাশাপাশি বেড়েছে পানিবাহিত রোগও। বাঁধ ধ্বংসের পর সুপেয় পানির সংকটে দিন কাটাচ্ছেন এ অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা। বিশেষত দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানের জন্য অনেকেই সংগ্রহ করছেন বৃষ্টির পানি।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে জরুরি বিভাগের সদস্যরা। সরবরাহ করা হচ্ছে বোতলজাত পানি। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। জানা গেছে, বাঁধ ধ্বংসের পরে হঠাৎ করেই অঞ্চলটির ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে প্রায় ছয় মিটার। এতে বন্ধ হয়ে গেছে কেন্দ্রীয়ভাবে পানি সরবরাহ কার্যক্রম।

এ প্রসঙ্গে ক্রাইভি রিহ জেলার প্রধান ইয়েভেন সিটনিচেংকো বলেন, তীরে যেসব পানির পাম্প আছে, সেগুলো অনেক দূরে। কোথাও এক হাজার মিটার, আবার কোথাও উপকূল থেকে ২ কিলোমিটারের বেশি পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে। এমন পরিবেশগত বিপর্যয় ইউক্রেনে এর আগে কখনও হয়নি। এটি পুরো দেশের জন্যই একটি বিশাল বিপর্যয়।

ক্রাইভি রিহ’র মিউনিসিপালিটি প্রধান সার্হেই মারনেংকো বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় যারা পানি সংগ্রহে একেবারেই অক্ষম তাদের কাছে আগে পৌঁছে দিচ্ছি। পুলিশও আমাদের সাহায্য করছে।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রশাসন বোতলজাত পানি দিয়ে গেছে। অনুরোধ করলে ফিল্টারের পানিও দিচ্ছে। যাদের নিজেদের কুয়া আছে তারা পানি জমিয়ে রাখতে পারছে। তবে বেশিরভাগ মানুষের অবস্থাই খারাপ। জানি না এভাবে কতোদিন চলতে পারবো আমরা।

এদিকে, জনদুর্ভোগ কমাতে বিকল্প উৎসের মাধ্যমে পানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিকে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে দাবি জেলেনস্কি প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত, ধ্বংস হওয়া বাঁধটি ছিল পুরো অঞ্চলের পানি সরবরাহের প্রধান উৎস। সেখান থেকেই স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দাদের পানি সরবরাহ করা হতো। এ উৎস থেকে পানি যেতো জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও। ইউক্রেনের অভিযোগ, বাঁধ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়াই। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply