চার রঙের বাহারি তরমুজ সাড়া ফেলেছে কিশোরগঞ্জে

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বারোমাসি চার রঙা তরমুজ চাষ নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। হলুদ, সবুজ, কালো ও ডোরাকাটা সবুজ এই চার রঙের তরমুজ চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন তরুণ চাষী ইমরান। এখন লাভের মুখও দেখছেন তিনি। ক্রেতারা বলছেন, শুধু দেখতেই আকর্ষণীয় নয়; স্বাদেও অতুলনীয় এসব তরমুজ। কৃষি বিভাগ বলছে, রঙবেরঙের এসব জাতের তরমুজের চাষ আরও ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় তরমুজ সবার কাঙ্খিত ফল। স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর এই ফল শুধু গ্রীষ্মেই পাওয়া যায়। তবে সময়ের বিবর্তনে এখন ১২ মাসই মিলছে এসব রঙবেরঙের তরমুজ।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার খামা গ্রামের তরুণ চাষি ইমরানের বারোমাসি চার রঙা তরমুজ চাষ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। ৩৩ শতক জমিতে হলুদ, সবুজ, কালো ও ডোরাকাটা সবুজ এই চার রঙের তরমুজ চাষ করেন তিনি। তার বিনিয়োগ মাত্র মাত্র ৩০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই দ্বিগুন লাভ করেছেন তরুণ এ চাষী।

তরমুজ চাষী ইমরান হোসেন বলেন, আমার এখানে ৩-৪ ধরনের তরমুজ আছে। যে বাজার মূল্য বর্তমানে আছে তা থাকলে আমার যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তা উঠে আসবে। দ্বিগুণ বা তিনগুণ লাভও হতে পারে।

বাহারি জাতের এসব তরমুজ দেখতে আসছেন আশেপাশের অনেকেই। কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বলছেন, স্বাদেও অতুলনীয়। ইমরানের বাগানে তরমুজ দেখতে আসা অনেকেই বলছেন, মৌসুমি তরমুজের থেকে এর স্বাদ অনেক বেশি।

এদিকে, তরমুজ চাষে কৃষকদের পাশে আছে কৃষি অধিদফতর। কর্মকর্তারা বলছেন, ইমরানের সাফল্য আরও অনেককে অনুপ্ররণা জোগাবে। এ প্রসঙ্গে পাকুন্দিয়া কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ইমরান হোসেন ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজ লাগিয়েছিলো। সে এখন পর্যন্ত এক লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছে।

প্রসঙ্গত, মধুমতী, ব্ল্যাক বেবি, ব্ল্যাক কিং ও ইয়েলো বার্ড- এই চার জাতের তরমুজ চাষ হচ্ছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply