রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের হুমকি দিয়েছেন ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। তার হুমকির পর রাজধানী মস্কোয় ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খবর রয়টার্সের।
সরকারি ভবন, বাস, রেলস্টেশনসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় টহল দিচ্ছে সেনা সদস্যরা। এরইমধ্যে ২৫ হাজার সেনা নিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত থেকে রাশিয়ার রুস্তভ শহরে প্রবেশের কথা জানিয়েছে ওয়াগনার গ্রুপ। যারাই সামনে আসবে তাদের মোকাবিলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। শহরটিতে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে রুশ প্রশাসন।
শুক্রবার (২৩ জুন) এক টেলিগ্রাম বার্তায় আবারও কোনো প্রমাণ ছাড়াই ওয়াগনার প্রধান দাবি করেন, তাদের দুই হাজার সেনাকে হত্যা করেছে রুশ সেনারা। এ সময় প্রতিশোধ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তবে এটি সামরিক অভ্যুত্থান নয়, ‘ন্যায়বিচারের যাত্রা’ বলে আখ্যা দেন প্রিগ্রোঝিন। জানান, মস্কোয় সামরিক কমান্ডের নেতৃত্ব উৎখাত করাই লক্ষ্য। এদিকে বিদ্রোহ রুখতে প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ এনেছে। এছাড়া ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বাখমুতে রুশ হামলায় কয়েক মাস ধরে ওয়াগনার গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে তাদের দ্বন্দ্বও বেশ পুরনো। প্রিগোঝিন এর আগেও একাধিকবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু এবং রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল ভ্যালেরি জেরাসিমোর বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগ তুলেছেন।
তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবারই সবচেয়ে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে।
এএআর/
Leave a reply