রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনার গ্রুপ। এরইমধ্যে ২৫ হাজার সেনা নিয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে রাজধানীর পথে যাত্রা করেছে বিদ্রোহীরা। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অনেক এলাকায় এরইমধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এ কারণে, মস্কোসহ রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বিদ্রোহ রুখতে প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ক্রেমলিন। খবর আলজাজিরার।
এরইমধ্যে, ইউক্রেনের পূর্বে রোস্তভসহ কয়েকটি শহরে রুশ সেনাদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ওয়াগনার যোদ্ধাদের। রোস্তভে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। ইউক্রেনের পূর্বে কয়েকটি শহরে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মস্কো যাওয়ার হাইওয়ে।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
রুশ বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দাবি করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। যারাই সামনে আসবে সর্বশক্তি দিয়ে তাদের মোকাবেলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
এদিকে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে ব্যাপকভাবে বাড়ানো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরিস্থিতি কিছুটা অস্পষ্ট হলেও সরকারি ভবন, বাস স্টপেজ, রেলস্টেশনগুলোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় টহল দিচ্ছে সেনা সদস্যরা।
আরও পড়ুন: প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
শুক্রবার (২৩ জুন) এক টেলিগ্রাম বার্তায় আবারও কোনো প্রমাণ ছাড়াই ওয়াগনার প্রধান দাবি করেন যে, দুই হাজার ওয়াগনার সেনাকে হত্যা করেছে রুশ সেনারা। হুঁশিয়ারি দেন প্রতিশোধের। তবে, এটিকে সামরিক অভ্যুত্থান নয় বরং ন্যায়বিচারের যাত্রা বলে আখ্যা দেন প্রিগ্রোঝিন। তিনি জানান, মস্কোয় সামরিক নেতৃত্ব উৎখাত করাই লক্ষ্য।
প্রিগোঝিন বলেন, মস্কো যেভাবে শিশু ও বেসামরিকদের হত্যা করেছে আমরা তা করবো না। আমরা শুধুমাত্র পেশাদার সৈনিকদের সাথেই লড়বো। আমাদের সামনে যে বা যারাই বাধা হবে তাদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দেবো। কেউ আমাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
/এসএইচ
Leave a reply