রুশ ভাড়াটে যোদ্ধা দল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন বলেছেন, মিথ্যা বলে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়েছে রাশিয়া। তিনি বলেন, ইউক্রেন আক্রমণের পেছনে ক্রেমলিন বিভিন্ন যুক্তি দেখালেও, সেগুলো ছিল রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের মিথ্যাচার। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোনো সমালোচনা করেননি তিনি। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (২৩ জুন) প্রকাশিত এক টেলিগ্রাম বার্তায় ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন এ দাবি করেন। তার এ বক্তব্য পুতিনের ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন বা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করতেই দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়েছে রাশিয়া- ভিডিও বার্তায় এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে প্রিগোঝিন বলেন, এটা এমন ধরনের গল্প যা শুনতেই ভাল লাগে। আসলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রুশ সমাজ ও প্রেসিডেন্টকে প্রতারিত করার চেষ্টা করেছে। ন্যাটোর সঙ্গে জোট বেঁধে ইউক্রেন আমাদের আক্রমণের পরিকল্পনা করছে- এরকম একটা গল্প ওরা আমাদেরকে বলার চেষ্টা করেছে।
এদিকে, বিভিন্ন ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরেই প্রকাশ্যে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও শীর্ষ রুশ জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ‘অযোগ্য’ বলেও অভিযুক্ত করে আসছেন প্রিগোজিন।
সর্বশেষ ভিডিও বার্তায় তাদের সম্পর্কে প্রিগোঝিন বলেন, এ যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের সম্পদ ভাগাভাগি করে নেয়া। সেই সাথে, ‘হিরো’র তকমা আর প্রমোশন পেয়ে মার্শাল হতে সার্গেই শোইগুরও প্রয়োজন ছিল একটা যুদ্ধের। ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ বা ডিনাজিফাই করার যে গল্প সে ফেঁদেছে তা সবৈর্ব মিথ্যা। শাসকশ্রেণির অভিজাত যে অংশটি দনবাসের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাদের আরও ধনী করতে এ যুদ্ধ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। দনবাসে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে বলেও দাবি ওয়াগনার প্রধানের।
এদিকে, অধিকাংশ রুশ বিশ্লেষক মনে করেন, প্রিগোঝিনের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ আছে। তিনি শোইগুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে চান বলে মনে করেন তারা।
/এসএইচ
Leave a reply