ওয়াগনার গ্রুপকে কি আদৌ ক্ষমা করবেন পুতিন?

|

নানা নাটকীয়তার পর রাশিয়ায় মাত্র ২৪ ঘণ্টা মধ্যেই বিদ্রোহের ইতি টেনেছে ওয়াগনার গ্রুপ। রুশ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বিদ্রোহীদের কোনো শাস্তি দেয়া হবে না। তবে আদৌ কি ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোঝিনকে ছেড়ে দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? এই বিদ্রোহের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, গোটা ওয়াগনার গ্রুপকেই বিলুুপ্ত করে দিতে পারে রাশিয়া। এমনকি কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধেও। খবর বিবিসির।

ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের দু’দিন পার হলেও এখনও থমথমে রোস্তভ শহর। নেই মার্সিনারি সদস্যদের টহলও। যেন রাতারাতিই উধাও গেছে ভাড়াটে যোদ্ধারা। বিদ্রোহ ঘোষণা করে এই শহরটিই প্রথমে দখলে নেয়ার দাবি করেছিল ওয়াগনার গ্রুপ। তবে গোটা এই সশস্ত্র বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেঈমানকে কখনও ক্ষমা করেন না পুতিন। তাই বর্তমানে বেলারুশের আশ্রয়ে থাকলেও পিঠে ছুরি মারার অপরাধে এই মার্সেনারি নেতাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।

এ নিয়ে ব্রিটেন সাবেক কূটনীতিক মার্ক লয়্যাল গ্রান্ট বলেন, যে ধরনের বিদ্রোহ হয়েছে তাতে মস্কোর ধাতস্ত হতে সময় লাগবে। আপাতত মনে হচ্ছে, প্রিগোঝিন ওয়াগনারের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। এরপর বেলারুশ কিংবা রুশ সামরিক বাহিনীর সাথে একিভূত করা হবে ওয়াগনার গ্রুপকে। কিন্তু এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই, প্রিগোঝিনকে সহজে ছেড়ে দেয়া হবে। তাকে শান্তিতে থাকতে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বাহিনী হিসেবে ওয়াগনারকে বিলুপ্ত করা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রিগোঝিনের পাশাপাশি শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন গ্রুপটির অন্য শীর্ষ কমান্ডাররাও, এমনটাই মনে করেন ব্রিটেনের সাবেক সেনাপ্রধান রিচার্ড ড্যানেন্ট। তিনি বলেন, পুতিনের জন্য প্রিগোঝিন এবং ওয়াগনারের ইতি টানা হয়ে গেছে। যে কাজ ওয়াগনার করে এসেছে সেই দায়িত্ব হয়তো বেলারুশের সামরিক বাহিনীকে দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে এক্ষেত্রে বেলারুশ সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না। তারাও মার্সেনারি বা ভাড়াটে যোদ্ধার মতোই কাজ করবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াগনার বিদ্রোহের পর যুদ্ধে সরাসরি ভাড়াটে সেনা নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহ ঘোষণার পর ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুতিন। তবে এই বিদ্রোহ শেষ হওয়ার পর থেকে তার মুখে একটি কথাও শোনা যায়নি। আর এটিই হয়ে উঠেছে উদ্বেগের বিষয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই দলটি বিশেষ করে প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুতিন।

এসজেড/





সম্পর্কিত আরও পড়ুন






Leave a reply