সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কখনো আলোচনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সোমবার (২৬ জুন) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আমরা সম্মান করি। সেন্টমার্টিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ব্যাপারে আমরা কখনই কোনো আলোচনা করিনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থনসহ গণতন্ত্র রক্ষায় একসাথে কাজ করার মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা করছি আমরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার পর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। গত ১৪ জুন দ্বীপটি নিয়ে প্রথম বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
জাতীয় সংসদে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু যারা, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই। বেশ কিছু সময় আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার বাগে রাখতে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দিয়েছে। এখন নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা কেবল দুরভিসন্ধিমূলকই নয়, তাদের ‘রেজিম চেঞ্জ’ এর কৌশলের অংশ। তারা কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়, তারা সেন্টমার্টিন চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২০ জুন জাতীয় সংসদে সেন্টমার্টিন ইস্যুতে কথা বলেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, আমেরিকা যখন কোনো দেশের গণতন্ত্রের ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে ওঠে, তখন সেই দেশের সরকার বা বিরোধী দলের চেয়ে জনগণের জন্য বেশি দুর্ভোগ বয়ে আনে। আমাদের এখন ভাবার সময় এসেছে, আমেরিকার হঠাৎ এই অতি উৎসাহের হেতু কী? গণতন্ত্র, নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ?
এছাড়া গত ২১ জুন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেন্ট মার্টিনের প্রসঙ্গ তোলেন।
ইউএইচ/
Leave a reply