পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে বখাটেদের উৎপাতে লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে এক ছাত্রীর। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রাম্য সালিশ থেকে থানা, কোনোখানেই বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীর পরিবার। আতঙ্কে মেয়েটির ঘরবন্দি জীবন কাটালেও অভিযুক্তরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বুক ফুলিয়ে।
প্রায় ৬ মাস ধরেই ঘরবন্দি জীবন কাটছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর। বখাটেদের উৎপাতে বন্ধ তার পড়ালেখা। ভুক্তভোগী জানিয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় তাকে প্রেম নিবেদন করে হৃদয় নামের এক প্রতিবেশী। অসংখ্যবার প্রত্যাখ্যানের পর তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে হৃদয়। এমনকি বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টাও চালায় হৃদয় ও তার সহযোগিরা।
এরপর, বিষয়টি গড়ায় গ্রাম্য সালিশ পর্যন্ত। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে হৃদয় ও তার সহযোগীদের ছেড়ে দেয় গ্রাম্য মাতবররা। এরপর, কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও শুরু হয় উত্ত্যক্ত করা ও হুমকি-ধামকি।
পঞ্চগড় সদরের ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল এ প্রসঙ্গে বলেন, তাকে একাধিকবার বলা হয়েছে। মেম্বাররা আলাদা করে বলেছেন। আমি আমার মেম্বারদেরসহ বলেছি কিন্তু সে আমাদের কথা শোনে না। এখনও পর্যন্ত কোনো কথা শোনেনি।
বখাটেদের উৎপাতের মাত্রা দিনকে দিন বাড়তে থাকে। এমনকি ভুক্তভোগীর ছোট দুই ভাই-বোনকে বিবস্ত্র করে তাদের ভিডিও ধারণ করে হৃদয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করলেও আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চগড় থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ওরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছে।
বখাটেরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিচার না পেয়ে হতাশ দরিদ্র পরিবারটি। ভুক্তভোগীর বাবা-মা বলেন, সুষ্ঠু বিচার চাই। শুধু আমার মেয়ে না আরও বাকি যে মেয়েরা আছে ওরাও যেন নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে।
দ্রুত উত্ত্যক্তকারীদের বিচার ও মেয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চায় ভুক্তভোগী পরিবারটি।
/এসএইচ
Leave a reply