সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ-সমাবেশ। শুক্রবার (৩০ জুন) জুমার নামাজ শেষে ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে হয় জোরালো আন্দোলন। প্রতিবেশী ইরানের রাজপথেও নামেন হাজারও মুসল্লি। শুক্রবার সেই আন্দোলনে যুক্ত হয় ইরাক। শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের ডাকে সাড়া দিয়ে বাগদাদে অবস্থিত সুইডিশ দূতাবাসে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ভবনটির সামনে পোড়ানো হয় সুইডেনের জাতীয় পতাকা। খবর বিবিসির।
এদিকে, মুসলিম নেতাদের তীর্যক বাক্যবাণে বিদ্ধ হয়ে ঘটনার ৩ দিন পর মুখ খুললেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ্ ক্রিস্টারসন। তিনি বলেন, মুসলিমরা যে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, সেটা অবশ্যই যৌক্তিক। অন্যের ধর্ম ও চিন্তাধারাকে অপমানের সুযোগ নেই। তবে ভিন্ন দেশে সুইডিশ দূতাবাসে জোরপূর্বক ঢোকাও অন্যায়।
এর আগে, ঈদুল আজহার দিন স্টকহোম কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআন শরিফ পোড়ান এক ইরাকি অভিবাসী। তাকে সালওয়ান মোমিকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঐ যুবকের দাবি, সুইডিশ পুলিশ ও প্রশাসনই তাকে প্রতিবাদ জানানোর এখতিয়ার দিয়েছে। তাই আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবারও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং ইরাকের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সে।
এসজেড/
Leave a reply