একজন উবার চালক এবং অপর জন ইলেকট্রিশিয়ান হলেও তাদের মূল পেশাই ছিল ছিনতাই করা। সোহেল ও ইউসুফ নামের দুই ব্যক্তি মিলেই ঈদের রাতে হামলা চালায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী প্রযোজক রাকিবের ওপর।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে পঙ্গু হাসপাতালে ভুক্তভোগীকে দেখতে আসেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। কুশল বিনিময় শেষে তিনি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। বলেন, সোহেল ও ইউসুফকে এর আগেও একাধিকবার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বারবার জামিন পেয়ে বের হয়ে আবারও একই অপরাধ ঘটাচ্ছে তারা। ঈদের আগে পাঁচশ’রও বেশি এবং ঈদের পর ১৫০ জনের বেশি ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ঈদের বন্ধে রাজধানীতে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঈদের আগেই অনেক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করছিলাম। কিন্তু এরপরও দুঃখজনকভাবে বিষয়গুলো ঘটেছে। পুলিশ এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। রাজধানীকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। এর জন্য আমাদের যা করা লাগে, যতো পরিশ্রম করা লাগে আমরা করবো।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় আমরা সবাইকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে নেয়া হয়েছে। সাংবাদিক রাকিবুল হাসানকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি, মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আরেক আসামি নজরদারিতে আছে, তাকেও যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে, পঙ্গু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঈদের দিন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩৭ জন ও এর পরদিন ১৭ জন আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
/এম ই
Leave a reply