বিমসটেক সম্মেলন: পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

|

বিমসটেক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও গতিশীল করতে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গঠনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, জ্বালানী খাতে দেশগুলোর মাঝে সহায়তা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নেপালে অনুষ্ঠিত, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট- বিমসটেকে’র চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন তিনি। আঞ্চলিক উন্নয়ন গতিশীল করতে তিনদফা প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিমসটেক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া ভাষণে বিমসটেক সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সমন্বিত বিদ্যুৎ গ্রিডসহ পৃথক বাণিজ্যিক এলাকা গঠনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিমসটেক সদস্যদের উন্নয়নে তিন দফা প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী। নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও পারস্পারিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদের কোনো সুযোগ নেই বলেও সদস্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করেন তিনি। বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। সন্ত্রাসের মূলোৎপাটনে কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আরও অনেক দূর যেতে হবে বিমসটেককে। প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পার হলেও আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে যেতে পারিনি।

ভারতের প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ভাষণে, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিস্তার ঠেকাতে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।

এর আগে নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও আলোচনা হয় দুই নেতার মাঝে।

এর আগে, দুপুরে নেপালি প্রেসিডেন্টের দেয়া মধ্যাহ্নভোজে সম্মেলনের যোগ দেন বিমসটেকের ৭ সদস্য দেশের নেতারা।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply