ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান

|

অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শফিক (৪৩)।

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে এক নারী পোষাককর্মীর দায়ের করা ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় কারাগারে গেলেন চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক (৪৩)। জানা গেছে, আইনি পদক্ষেপের আগে একাধিকবার ফেসবুক লাইভে শফিক চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন ভুক্তভোগী।

বুধবার (৫ জুলাই) ঢাকার একটি আদালতে তিনি জামিন প্রার্থনা করলেও তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ আশুলিয়া থানায় চেয়ারম্যান শফিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রায় ৮ বছর আগে ব্যক্তিগত কাজের সুবাদে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর।পরে মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে যোগাযোগ চলে। দীর্ঘ আলাপে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। পরে বিষয়টি তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের জানান। গত এপ্রিল মাসে ভুক্তভোগী বিয়ের কথা বললে অস্বীকৃতি জানান চেয়ারম্যান শফিক। এবং ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

এ প্রসঙ্গে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম জানান, বুধবার ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল আদালত ঢাকা-৬ এ আসামি শফিকুল ইসলাম হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক দুই পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply