চট্টগ্রামে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। হঠাৎ করে ডেঙ্গুর এমন প্রকোপ বাড়ায় উৎকন্ঠায় স্বাস্থ্যবিভাগ। হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৪৪৫টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সিটি করপোরেশন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ব্যথা নিয়ে একের পর এক আক্রান্ত রোগীরা আসছেন। এমনই অবস্থা যে হাসপাতালের ওয়ার্ড ছাড়িয়ে জায়গা দিতে হচ্ছে বারান্দাতেও।
গেল ২৪ ঘণ্টায় শুধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪টি ওয়ার্ডেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে এই সংখ্যা ১৭১ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৫২ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৬৪ জন। আর চলতি মাসের প্রথম ৮ দিনেই আক্রান্তের এই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৬৬২ জনে। চিকিৎসকরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি নগরীর ইপিজেড, কাট্টলী, মনসুরাবাদ, হালিশহরসহ জনবহুল সব এলাকায়। সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মসূচী নিয়ে ক্ষোভ আক্রান্ত এবং তাদের স্বজনদের।
আক্রান্তের হার ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড। চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এরমধ্যে জুলাইয়ের প্রথম ৮ দিনেই মারা গেছে ৩ জন।
এটিএম/
Leave a reply