দেশে প্রথমবারের মতো ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ডিম থেকে মরুভূমির উটপাখির বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়েছে। দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এমএ গাফফার মিয়ার নেতৃত্বে একদল গবেষক বাচ্চা ফোটানোর কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
অধ্যাপক ড. এমএ গাফফার মিয়া বর্তমানে নাটোরের রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২১টি উটপাখির বাচ্চা আনেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় খামার স্থাপন করে গবেষণা শুরু করেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। অবশেষে চলতি বছর সফল হলেন।
অধ্যাপক গাফফারের নেতৃত্বে গবেষক দলে রয়েছেন অধ্যাপক ড. উম্মে সালমা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রাশেদুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক ও সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান মিঠু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. খাদিজা আল ফেরদৌস, সহকারী অধ্যাপক ডা. হোসনে মোবারক, পিএইচডি গবেষক খন্দকার তৌহিদুল ইসলাম, আহসান হাবিব প্রামাণিক, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুশফিক রহমান ও বিদেশি শিক্ষার্থী খালিদ।
অধ্যাপক ড. এমএ গাফফার মিয়া জানান, গবেষক দলের সদস্যরা নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়েছেন। যার ফলে দেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উপায়ে ইনকিউবেটরে উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো সম্ভব হয়েছে।
এএআর/
Leave a reply