আবারও চরম খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় বিশ্ব

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইউক্রেনের শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবারও চরম খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় গোটা বিশ্ব। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে বিশ্বব্যাপী আরেক দফা লাগামহীন হয়ে পড়েবে খাবারের দাম। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে আমদানি নির্ভর দরিদ্র দেশগুলোতে। খাদ্য আমদানিতে মস্কোর ওপর নির্ভরতা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এপির।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর হঠাৎ করেই বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় তীব্র খাদ্য সংকট। শীর্ষ খাদ্যশস্য উৎপাদন এবং রফতানিকারক দুই দেশের সংঘাতের প্রভাব দেখতে শুরু করে বিশ্ববাসী। রফতানি বন্ধ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যসামগ্রীর দাম। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শস্য রফতানি চুক্তি সাক্ষর করে মস্কো-কিয়েভ। এর ফলে, কিছুটা স্বস্তি আসে খাদ্য বাজারে।

কয়েক দফা নবায়ন হলেও, এবার শস্য চুক্তি আর নবায়ন করেনি মস্কো। পুতিন প্রশাসনের অভিযোগ, চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার সার ও শস্য রফতানি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। ফলে, আবারও অনিশ্চয়তায় গোটা বিশ্ব।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এতে গোটা বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি লাগামহীন হয়ে পড়বে খাদ্যের দাম। নাগালের বাইরে চলে যাবে গম, আটা, ময়দাসহ এসব পণ্যের তৈরি সব খাবারের দাম। চরম অনিশ্চয়তায় পড়বে খাদ্য নিরাপত্তা ।

বৈশ্বিক খাদ্য ও পানি নিরাপত্তা প্রোগ্রামের পরিচালক কেটলিন ওয়েলস এ প্রসঙ্গে বলেন, এ চুক্তি নবায়ন না হলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে আমদানি নির্ভর দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে। কেননা অন্য উৎস থেকে আমদানি আরও সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হবে। ফলে খাদ্যের সংকট এবং দাম বৃদ্ধি অবধারিত।

ইউক্রেনের সাথে শস্যচুক্তি নবায়ন না করায়, খাদ্যশস্য আমদানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। ধারণা করা হচ্ছে, এতে আরও লাভবান হবে মস্কো।

এ প্রসঙ্গে বৃটিশ কৃষি গবেষক কার্লোস মেরা বলেন, রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম রফতানিকারক দেশ। বিশ্বব্যাপী ২০ শতাংশের বেশি গম সরবরাহ করে তারা। অর্থাৎ, ইউক্রেন যদি রফতানি করতে না পারে, তাহলে আমদানিকারকরা রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হবে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্র দেশগুলোর মস্কোর ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে। এরই মধ্য বিশ্ববাজারে গম, ভুট্টার দাম বেড়েছে। ফলে রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হলে, বাড়তি দামেই শস্য কিনতে হবে তাদের।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে সাক্ষরিত শস্য চুক্তি নবায়নে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply