চলমান দাবদাহে চরম দুর্ভোগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহহীনরা। একে তো নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, এর মধ্যে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র গরম। রয়েছে খাবার পানির অভাব। এমন বৈরি আবহাওয়ায় অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোকসহ শারীরিক নানা জটিলতায়।
টানা দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে যুক্তরাষ্ট্রের জনজীবন। গেল সপ্তাহে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামীতে আরও বাড়ার আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। খবর বিবিসির।
সোমালিয়া কিংবা ইথিওপিয়ার মতো দুর্ভিক্ষপীড়িত কোনো দেশের নয়; বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গৃহহীন মানুষদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। চলমান দাবদাহে বিপাকে পড়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের এক গৃহহীন ব্যক্তি বলেন, এই মুহুর্তে পানির কোনো বিকল্প নেই। যারা আমাদের সহায়তা দিচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই পরিস্থিতিতে শরীরও বিশেষ ভালো নেই। প্রচণ্ড দুর্বল এবং অসুস্থ বোধ হয় সবসময়। মনে হয় যেন এখনই মারা যাচ্ছি।
অসহনীয় এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে দ্যা ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটেবল অরগানাইজেশন নামের একটি সংস্থা। অ্যারিজোনায় ১১টি কুলিং সেন্টার চালু করেছে তারা। গৃহহীনদের নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
অ্যারিজোনার জনসংযোগ কর্মকর্তা স্কট জনসন জানিয়েছেন, গরমকালীন দুর্যোগ চলছে। টানা ১৮ দিন ধরে তাপমাত্রা অসহনীয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। গৃহহীন মানুষগুলোর ভোগান্তির শেষ নেই। এই মুহুর্তে তাদের জরুরিভাবে পানি, সানস্ক্রিন, টুপি প্রয়োজন। এই মুহুর্তে আমরা প্রতিদিন পাঁচশ মানুষকে সহায়তা দিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত বছর অ্যারিজোনার ফিনিক্স এলাকায় ভয়াবহ তাপমাত্রায় প্রাণ হারান ৪২৫ জন।
/এএম
Leave a reply