তরঙ্গ ব্যবহারে জটিলতায় অপারেটররা

|

মাসুদুজ্জামান রবিন:

মোবাইল ফোনে কলড্রপ, নেটওয়ার্ক না থাকা, ইন্টারনেটে ধীরগতি— এসব এখন নৈমিত্তিক ঘটনা। ব্যবহারকারীরা এতে বেশ বিরক্ত। সংশ্লিষ্টদের দাবি, মোবাইল নেটওয়ার্কের কিছুটা উন্নতি হলেও গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বলছে, যথেষ্ট পরিমাণ তরঙ্গ ব্যবহার করা না হলে সেবা কাঙ্খিত মানে পৌঁছাবে না। অথচ অপারেটররা নিলামে কেনা নতুন তরঙ্গের ৫০ শতাংশও নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে পারেনি। গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে তরঙ্গ ব্যবহারের যে রোডম্যাপ দেয়া হয়েছিল, সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি।

২০২২ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত নিলামে দেশের ৪ মোবাইল ফোন অপারেটরই তরঙ্গ কেনে। আগের তরঙ্গ মিলিয়ে গ্রামীণফোনের ১০৭.৪০, রবির ১০৪, বাংলালিংকের ৮০ এবং টেলিটকের ৫৫.২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ হয়।

অপারেটরদের দাবি, বিপুল তরঙ্গ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। যা আমদানির জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক একযোগে ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি এলসি খোলা নিরুৎসাহিত করছে। এতেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম বলেন, আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি রেস্ট্রিকশন আছে। তাই, ভাগ করে করে যন্ত্রপাতি আনতে হচ্ছে এবং খরচ বাড়ছে। নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ায় যে পরিকল্পনায় তরঙ্গ নেয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে সময় লাগছে।

বিটিআরসির রোডম্যাপে বলা হয়েছিল, গেলো জুন মাসের মধ্যে নতুন কেনা তরঙ্গ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। বিটিআরসির আশা আগামী ৬ মাসের মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।

শ্যাম সুন্দর সিকদার বললেন, কিছু যন্ত্রপাতি তো বিদেশ থেকে আনতে হয়। এলসি জটিলতায় কিছু যন্ত্রপাতি তো বাহির থেকে আনতে পারেনি মোবাইল অপারেটররা। এজন্য একটু বিলম্বিত হচ্ছে, আর বেশি সময় লাগবে না। গ্রাহকেরা অচিরেই সুফল পাবেন।

এদিকে, আমদানি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় আছে অপারেটর কোম্পানিগুলো।

নতুন তরঙ্গ যুক্ত হলে প্রতি মেগাহার্টজে গ্রামীনফোন ৭ লাখ ৭০ হাজার, রবি ৫ লাখ ২০ হাজার, বাংলালিংক ৪ লাখ ৭০ এবং টেলিটকের ১ লাখ ২০ হাজার গ্রাহককে সেবা দিতে পারবে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply