‘১৭ বছর বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না’

|

অধ্যাপক তাহেরের কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ, স্ত্রী সুলতানা আহমেদ ও ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের দুই খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একই মঞ্চে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীর আলমের।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও অধ্যাপক তাহেরের কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বলেন, এ ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে সত্যের জয় হলো। ১৭ বছর পরে হলেও শাস্তি কার্যকর হলো। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে কৃতজ্ঞতা শব্দটি অতি ক্ষুদ্র হয়ে যায় তাদের প্রতি, যারা আমাদের পরিবারকে গত ১৭ বছর কোনো না কোনোভাবে সহযোগিতা করেছেন।

আইন ও বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেগুফতা বলেন, ১৭ বছর বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না আমরা, ভাই আর আমি। সে এক নিদারুণ কষ্ট।

অধ্যাপক তাহের হত্যাকাণ্ডের সময় কন্যা শেগুফতা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়ছিলেন। আইন পেশায় যোগ দেয়ার পর তিনিই এ মামলার দেখাশোনা এবং রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মরদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দুই আসামির মধ্যে জাহাঙ্গীর ছিলেন অধ্যাপক তাহেরের বাড়ির কেয়ারটেকার। আর মহিউদ্দিন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে তাহেরের সহকর্মী।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply