পিঠের ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে লন্ডনের একজন মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়েছেন তামিম ইকবাল। গতকাল (২৭ জুলাই) লন্ডনে এই চিকিৎসকের অধীনে তিনি ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়েছেন। অস্ত্রোপচারের দিকে না গিয়ে ইনজেকশন নেয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়ার তামিমের সামনে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা আলোর মুখ দেখছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিসিবির মিডিয়া বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তামিমের সাথে লন্ডনে অবস্থানরত বিসিবির সিনিয়র চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আগামী দুই দিন ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তামিম। তামিমের চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে সেই মূল্যায়ণের পর।
ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে না তামিম ইকবালকে। লন্ডনের সেই চিকিৎসক তামিমকে সারিয়ে তুলতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ইনজেকশন দিয়েছেন। তামিমের মেরুদণ্ডের স্ক্যান রিপোর্টে বিসিবির চিকিৎসকরা কোনো সমস্যা খুঁজে না পেলেও ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ টনি হ্যামন্ড নিশ্চিত করেছেন, পিঠের নিচের অংশের ডিস্কে কিছুটা ক্ষয় ধরেছে তামিমের। এরপর এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে তামিমের অংশ নেয়া পড়ে যায় শঙ্কায়। যদি অস্ত্রোপচার করতে হয়, তাহলে অন্তত ৪ থেকে ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিটকে যাবেন তামিম। তবে। ইনজেকশন দেবার সিদ্ধান্তে আপাতত কেটেছে সেই শঙ্কা।
সবকিছু ঠিক মতো কাজ করলে অন্তত ১০ দিন বিশ্রামের পর ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন তামিম। তবে ব্যথা ফিরে এলে দ্বিতীয় দফায় আবারও ইনজেকশন দিতে হবে ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। সাধারণত, এই ধরনের ইনজেকশন সর্বোচ্চ তিন থেকে ৪ মাস সুস্থ রাখতে পারে একজন অ্যাথলেটকে। সে হিসেবে, সবকিছু ঠিকমতো কাজ করলে এশিয়া ও বিশ্বকাপে দেখা যাবার কথা দেশের সবচেয়ে সফল এই ব্যাটারকে।
/এম ই
Leave a reply