শান্তি আলোচনার টেবিল থেকে কখনও সরেনি রাশিয়া। তবে বৈঠকের জন্য দরকার দু’পক্ষের সমঝোতা। শনিবার (২৯ জুলাই) সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকান নেতাদের সাথে সম্মেলন শেষে এ কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানান, শান্তির ভিত্তি হতে পারে আফ্রিকার প্রস্তাব। তবে ইউক্রেনের ক্রমাগত হামলার কারণে তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আফ্রিকার বড় ধরণের উদ্যোগ নজরে আসে গত মাসে। বিবদমান দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সাত আফ্রিকান দেশের প্রতিনিধি। এরই ধারাবাহিকতায় হয়ে গেলো দু’দিনের রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলন। আফ্রিকার দেয়া প্রস্তাবের বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও সংঘাত নিরসনে সম্ভাব্য কয়েকটি ধাপের কথা বলা হয়েছে সেখানে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেন যেখানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা গুলি না চালিয়ে থাকতে পারি না। আমরা কখনও শান্তি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিনি। আমার মনে হয়, শান্তি প্রক্রিয়ার পথে নিয়ে যেতে আফ্রিকার এই প্রস্তাব ভালো একটি ভিত্তি হতে পারে। যেমনটি চীনের উদ্যোগ হতে পারে।
শস্যচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইস্যুতেও কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, সত্যি বলতে শস্যচুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের কোম্পানিগুলো লাভবান হয়েছে। অর্থাৎ, মুনাফা বেড়েছে আমাদের কোম্পানিগুলোর। দরিদ্র দেশগুলোর সাথে সেই মুনাফা ভাগ করে নেয়া হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ শস্য বিনামূল্যে পাবে তারা।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে চলতি বছরের শুরুতে ১২ দফা প্রস্তাব দেয় চীন। সেখানে কার্যকর যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়। তবে দখলকৃত এলাকা থেকে মস্কোর সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো আলোচনায় রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। ১৯৯১ সালের সীমানা ফিরে পেতে চায় তারা। অন্যদিকে, নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতা মেনে নিতে হবে কিয়েভকে, এমন শর্ত ক্রেমলিনের।
/এএম
Leave a reply