গত পাঁচ বছরে সাত নম্বরে মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করেছেন মাত্র তিনবার

|

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুরুই করেছিলেন সাত নম্বর পজিশনে। এরপর এই পজিশনে দেখা গেছে আরও অনেকবার। তবে গত পাঁচ বছরে বদলে চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। এই সময়ে অভিজ্ঞ এ ব্যাটারকে সাতে দেখা গেছে কেবল তিনবার।

যে পজিশনের জন্য এতো আলোচনা ক্রীড়াঙ্গনে। সেই পজিশনে মাহমুদউল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে একদমই নিয়মিত নন। ২১৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৭১ ইনিংস সাতে ব্যাট করছেন তিনি। তাতে ৩৪.৭১ গড় আর ৭৭.২৯ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১ হাজার ৫৯৭ রান।

তবে গত পাঁচ বছরে চিত্রটা একদম ভিন্ন। এই সময়ে মাত্র তিনবার সাতে ব্যাট করেছেন তিনি। তাতে ৫৬.৬০ গড়ে ১১৩ রান করেছেন রিয়াদ। আর স্ট্রাইক রেট প্রায় ৮৫। অর্থাৎ সাতে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি খেললেও এই ভূমিকা গত পাঁচ বছরে ছিল না তার।

ছবি: সংগৃহীত

সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই ম্যাচে ২১ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার। একই বছরে এশিয়া কাপে এই পজিশনে দেখা গিয়েছিল তাকে। যেখানে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছিলেন রিয়াদ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন এই ব্যাটার। যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে হতাশ করেছিলেন তিনি। খেলেছিলেন ২৫ রানের ইনিংস।

কিন্তু এরপর থেকে ৬ নম্বর পজিশনে বেশি খেলতে দেখা গেছে রিয়াদকে। সাতে যেখানে গত পাঁচ বছরে ৩ বার খেলেছেন, ছয়ে খেলেছেন ৩৭ বার। ৩৫.০৬ গড় আর ৭৪.৭৬ স্ট্রাইকরেটে তার ব্যাট থেকে আসে ১ হাজার ৫২।

নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে বাজে ব্যাটিং করায় দল থেকে ছিটকে যান রিয়াদ। যদিও নির্বাচকরা তাকে বিশ্রাম দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে দুই সিরিজের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সুযোগ মেলেনি তার।

ছবি: সংগৃহীত

মাহমুদউল্লাহর বদলে ছয়ে নতুন ভূমিকা দেয়া হয় মুশফিকুর রহিমকে। নতুন ভূমিকায় মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত ‘মুশি’ ব্যাট হাতে দারুণ সফলতা দেখিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহর জায়গায় ছয়ে নেমে ৭ ইনিংসে এই সময়ে ৭১.২০ গড় আর ১০৯.২০ স্ট্রাইকরেটে ৩৫৬ রান করেছেন মুশফিক।

বড় রান করার পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার চাহিদা মিটছে তার ব্যাটে। যে কারণে মাহমুদউল্লাহ হয়ে পড়েছিলেন প্রশ্নবিদ্ধ, মুশফিক সেই জায়গাতেই দলকে দিচ্ছেন বড় ভরসার ছবি।

ছয়ে থিতু হওয়া মুশফিককে আর বদল করতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তার উপরে সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের জায়গাও মোটামুটি পাকা। সেক্ষেত্রে ৭ নম্বর পজিশনে মাহমুদউল্লাহকে ফিরতে হলে তিনি কী আগ্রাসী খেলার দাবি মেটাতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর জন্য চ্যালেঞ্জটা তাই বেশ কঠিন।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply