স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্ট ইতিহাসের সফলতম জুটিকে গতকাল একসঙ্গে বোলিং করতে দেখা গেল শেষবারের মতো। শুন্য থেকে তারা দু’জনে বনে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় এক জুটি। একসঙ্গে বাইশ গজে ছুটে চলেছেন প্রায় ১৭ বছর।
ওভাল থেকে অনেক বিখ্যাত ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন। সেখানে স্টুয়ার্ট ব্রড অবসর নেয়ায় শেষ হলো স্মরণীয় এক বোলিং জুটির। তাদের একসঙ্গে খেলার শুরুটা হয় ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে। সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের পর স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথু হগার্ডদের মতো অভিজ্ঞদের পরিবর্তে এই দু’জনকে একাদশভুক্ত করা হয়েছিল। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতিয়েছিল এই জুটি।
ব্রড-অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্যারিয়ারে জুটি বেঁধে ১৩৮ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ১ হাজার ৩৯ উইকেট। যার মধ্যে ব্রডের ঝুলিতে ৫০২ এবং অ্যান্ডারসনের নামের পাশে যোগ হয়েছে ৫৩৭ উইকেট। ব্রড পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন ১৭ বার, অ্যান্ডারসন করেন ২৬ বার। পাঁচ উইকেটের ব্যবধানটা বেশি হলেও দু’জনেই ১০ উইকেট নিয়েছেন সমান তিনবার করে। এমন অবিস্মরণীয় রেকর্ডময় জুটি আর কখনও কি ক্রিকেট মাঠে দেখা যাবে?
শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রার একসঙ্গে খেলে নেওয়া ১ হাজার ১ উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়ে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন স্মরণীয় এই বোলিং জুটি। আর, শুধু পেসারদের মধ্যে বিবেচনা করলে কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি অ্যামব্রোস জুটিকে (৭৬২) পেছনে ফেলেছেন বহু দিন আগেই।
সর্বোচ্চ টেস্ট খেলার তালিকায়ও দু’জন রয়েছেন শীর্ষ পাঁচে। তালিকার দুইয়ে আছেন ব্রড (১৮৩ টেস্ট) এবং পাঁচে অ্যান্ডারসন (১৬৭ টেস্ট)। যে তালিকায় বাকি তিনজনই (শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ) ব্যাটসম্যান।
পেসার মানে স্বাভাবিকভাবেই চোটের সঙ্গে নিত্য লড়াই। সেসব জয় করে দুজনের লম্বা ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে শুধু এক সংস্করণে খেলে যাওয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে দু’জনের কেউই সেভাবে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেননি।
অ্যাশেজ সিরিজে ব্রডের ক্যারিয়ারের ইতি টানার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো এই ঐতিহাসিক জুটির। বাইশ গজের রূপকথার গল্প লিখেই থামলো ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটি। এমন জুটি কি ফিরবে আর?
/এএম
Leave a reply