ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ১ হাজার ৭৫৭

|

ফাইল ছবি।

গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে আরও ১০ জনের। এর মাঝে ঢাকা সিটির মাঝেই মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন; আর ঢাকার বাইরে ২। এ নিয়ে এ বছরের মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৩ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে একদিনে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৭ জন।

জুলাই মাসে মৃত্যুর রেকর্ড গড়ার পরও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কমার লক্ষণ নেই। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মান্ডা, ডেমরাসহ আশপাশের এলাকা থেকে আসা রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুর সংখ্যাও অনেক।

মেঝেতে শয্যা পেতেও চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা। মুগদা হাসপাতালে গড়ে ৫ শতাধিক রোগী ভর্তি থাকছে প্রতিদিন। জুলাই থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়া রোগীর সংখ্যা আগস্টেও থামার লক্ষণ নেই। শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ডেঙ্গুর সাথে যুদ্ধ করছেন অভিভাবকরা। সীমিত লোকবল নিয়ে সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার নার্সরা। মুগদার আশেপাশের মান্ডা, মাতুয়াইল, ডেমরা এলাকা থেকে রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে মুগদা হাসপাতালে। কোনো কোনো রোগী দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসা নিতে।

বাড়তি এই রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মুগদা হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বিল্লাল হোসেন বলেন, করোনার সময়ে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসতো রোগীরা। এবার ডেঙ্গুতেও জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়েই আসছে আক্রান্তরা। এটা একটা এটিপিক্যাল ফিচার যে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগীরা আসছে। কমপ্লিকেটেড রোগীদের বেশি পাচ্ছি। অর্থাৎ, শ্বাসকষ্ট মানে বুকে পানি। পেট ফোলা মানে পেটে পানি চলে আসে, কাশি চলে আসে, ডায়রিয়া চলে আসে। আমার হাসপাতালে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জনের মধ্যেই ডেঙ্গু পাচ্ছি।

তাই, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার বিস্তার রোধের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় ভয়াবহ হতে পারে পরিস্থিতি।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply