মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে হয়ে গেলো আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফির ফটোসেশন। কয়েক দফায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে ট্রফির সাথে ফটোসেশন। পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের পাশাপাশি ট্রফির সাথে ছবি তুলেছেন বিকেএসপি ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরা। এছাড়া বিসিবির সংশ্লিষ্টরাও অংশ নিয়েছিলেন ফটোসেশনে। বিশ্বকাপ ট্রফি কাছে পেয়ে জানান তাদের অনুভূতি।
গত ১৭ বছর ধরে এমন একটা সকালের অপেক্ষায়ই হয়তো আছেন মুশফিকুর রহিম। ১১ কেজি ওজনের এ সোনালী ট্রফিটা মুশি যখন বয়ে নিয়ে আসছিলেন পোডিয়ামের দিকে তখনও চোখেমুখে স্বপ্নটা জ্বলজ্বলে। প্রথমেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে ট্রফির গ্রুপ ফটো। ছবিটায় শুধু একটা জিনিসই মিসিং, একটা বোর্ড, যেখানে বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকবে চ্যাম্পিয়নস…
কয়েকটি ক্লিকের পর পাশেই অনুশীলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। পরে অবশ্য আলাদা করে ছবি তুলেছেন মুশফিক তাসকিনরা।
এরপর সেন্টার উইকেটে রাখা হয় ট্রফি। মাঠকর্মীদের সাথে ছবি তোলা শেষে ট্রফি আসে বিসিবি মিডিয়া সেন্টারের সামনে। যেখানে ফটোসেশনে অংশ নেন বিকিএসপির উদীয়মান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরাও।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের সাথে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খান আর শাহরিয়ার নাফিসও আসেন ফটোসেশনে। এরপর, আসেন সালমা জ্যোতিরা। একে একে জানান ট্রফি নিয়ে নিজেদের অনুভূতি আর বিশ্বজয়ের স্বপ্নের কথা।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, ট্রফি ছুঁতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। জেতার পর খোলা ট্রফিটা যদি ধরতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগতো। রোমাঞ্চ অনুভব করছি।
জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক সাবেক সদস্য শাহরিয়ার নাফিস বলেন, এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা অবশ্যই আশাবাদী। এবারের ওয়ার্ল্ডকাপে বাংলাদেশ তার সেরা খেলাটাই খেলবে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য নিগার সুলতানা বললেন, এর আগে সামনাসামনি কখনও ওয়ার্ল্ডকাপের ট্রফি দেখার সুযোগ হয়নি। বিসিবি এবং ওমেন্স উইংকে ধন্যবাদ আমাদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য। অনেক তরুণ খেলোয়াড়রাও ছিলেন এখানে যাদের কাছে এভাবে ওয়ার্ল্ডকাপের ট্রফি দেখাটা স্বপ্ন পূরনের মতো ব্যাপার।
সর্বশেষে ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তোলার পালা। লাইন ধরে ছবি তুলেছেন প্রত্যেকেই।
/এসএইচ
Leave a reply