চট্টগ্রাম ব্যুরো:
তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারে ধীরে ধীরে নামছে বন্যার পানি। একই সাথে পাহাড়ে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে, বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামের যান চলাচল শুরু হলেও উপজেলাগুলোর সাথে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিধসের কারণে রাঙ্গামাটির সাথে আঞ্চলিক যোগাযোগও বন্ধ। শহরের পথঘাট থেকে পানি নামতে থাকায় স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। চারদিকে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে পর্যটন শহরটি। স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
যেসব জায়গা থেকে পানি নেমেছে, সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধ চলছে। পুরো শহর কাদামাটিতে ভরা। জলাবদ্ধতার পর এখন বড় সমস্যা এই কাদা সরানো নিয়ে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে যারা ঘরে ফিরছেন, তারা ক্ষতি সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামতের পাশাপাশি খাবার জোটানোর দুশ্চিন্তা তাদের। এর মধ্যে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও বাঘাইছড়িতে পানিবন্দি অবস্থায় চতুর্থ দিন পার করছে মানুষ। একদিন বিরতি দিয়ে ফের বৃষ্টি হচ্ছে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে। দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ও মেরুং ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল এখনও পানিবন্দি। ডুবে আছে মেরুং বাজারের একাংশ। এই দুই ইউনিয়নের ৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দেড়শ পরিবার অবস্থান করছে।
সড়ক তলিয়ে থাকায় বন্ধ আছে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি-সাজেক ও লংগদু সড়কের যান চলাচল। তবে বাঘাইহাট থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। সাজেক থেকে কিছু পর্যটক বিকল্পভাবে ফিরতে শুরু করেছেন তাদের গন্তব্যে। তবে সরাসরি যান চলাচল না করায় এখনও অনেক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়ে আছেন।
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় পানিবন্দি লাখও মানুষ। এই দুই উপজেলায় বাড়িঘর থেকে পানি নামেনি এখনও। সড়ক থেকে পানি সরতে শুরু করলেও গতি বেশ ধীর। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন স্কুল-কলেজ ভবনে। খাবার আর বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট। অবশ্য, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
/এমএন
Leave a reply