বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে আমরা একটি আইন ও কমিশন গঠন করবো, বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে একটা ষড়যন্ত্র ছিল। এখন আমাদের মুল দায়িত্ব হচ্ছে নতুন এবং ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে ওই ষড়যন্ত্রের কুশীলবদের চিহ্নিত করা। আমরা প্রতিহিংসার জন্যে এ কথা বলছি না। যারা এ ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করেছিলো। দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো। তাদের চিহ্নিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তা না হলে বাংলাদেশ শান্তিতে থাকতে পারবো।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছে আসে না। তারা রাজনীতি করে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস, ব্রিটিশ দূতাবাস, হেন দূতাবাস, তেন দূতাবাসে। তারা মনে করে ওই দূতাবাস দিয়ে আপনাদের ঘাড়ে উঠতে পারবে। আপনারা কি চান কেউ দূতাবাসের ঘাড়ে উঠে আপনাদের শাসন করুক? এদের চিনে রাখবেন এরা জনগণকে দুই পয়সার দাম দেয় না। এরা ক্ষমতায় আসলে দেশটাকে বিরান করবে। এরা বলে, কেয়ারটেকার সরকার হতে হবে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে মামলা হয়েছে। ২০১০ সালে এর রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয়েছে- কেয়ারটেকার সরকার আমাদের সংবিধানের সাথে চলে না। এটা অবৈধ। পরে সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের যে ব্যবস্থা ছিলো তা সংসদে বাতিল করা হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। সংবিধানে পরিস্কার বলা হয়েছে- নির্বাচন করার জন্যে যে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। আর শেখ হাসিনার সরকার দৈনন্দিন কাজ করে যাবে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যের হত্যার বিচার শুরু করেন। আমরা দেখেছি সে বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যতোজনকে পেয়েছি তাদের রায় কার্যকর করেছি। কয়েকজন আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমরা জেল হত্যা মামলাও শেষ করেছি।

এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন প্রমুখ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply