মহামারির দিকে এগোচ্ছে ডেঙ্গুজ্বর, মশক নিধন অভিযানের বাইরে ডিএসসিসির একাধিক এলাকা

|

আখলাকুস সাফা:

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বহু এলাকা এখনও মশা নিধন অভিযানের বাইরে রয়েছে। মুগদা হাসপাতাল লাগোয়া বাসাবো, নন্দীপাড়া, সবুজবাগসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না ৩ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে।

এদিকে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি যাচ্ছে মহামারির দিকে। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, পরিস্থিতিটা এখন পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি। যদিও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দাবি, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে।

মশক নিধন অভিযান না থাকায় মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের বেশিরভাগই বাসাবো আর নন্দীপাড়া এলাকার। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শাসসুল কবির বলেন, আমাদের ৭৫টি ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে পর্যবেক্ষণ করছি। কোথায় মশক নিধন কাজ হচ্ছে, কোথায় পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে সবই কন্ট্রোল রুমে বসে আমরা নজরে রেখেছি। তবে হাসপাতাল দক্ষিণে বেশি হওয়ায় রোগীর চাপ একটু বেশি লাগছে। মূলত দক্ষিণের রোগীর সংখ্যা কম।

নিয়মিত ফগিং হচ্ছে যেসব এলাকায়, সেখানেও মশার উৎপাত কমছে না। আক্রান্ত হচ্ছে একই পরিবারের একাধিক সদস্য। জাতীয় ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সদস্য ও কীটতত্ত্ববিদ ডক্টর মঞ্জুর আহমাদে জানালেন, মশা নিধনে বহু কৌশলই কাজে আসছে না। আধুনিক অনেক প্রযুক্তি আনা দরকার। প্রতি বছর জরিপ করতে হবে, এগুলো তো হচ্ছে না।

চলতি মাসের ১৫ দিনে দেড়শর বেশি মানুষ মারা গেছেন ডেঙ্গুজ্বরে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। যারা পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাদের ৮০ ভাগই হচ্ছেন ডেঙ্গু পজেটিভ। পরিস্থিতি প্রশমনে ক্লাস্টার ধরে মশা নিধনের পাশাপাশি আরও কিছু পরামর্শ দিলেন এই কীটতত্ত্ববিদ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply