মেসি আসবে শুনেই বুঝেছিলাম চাকরি হারাবো: নেভিল

ছবি: সংগৃহীত

ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার দুই সপ্তাহ আগে লিওনেল মেসি নিজেও জানতেন না তার ভাগ্য কোন ক্লাবে যুক্ত হচ্ছে। তবে বিষয়টি একজন জানতেন। তিনি হচ্ছেন মায়ামির সাবেক কোচ ফিল নেভিল। জানতেন, মেসি মায়ামিতে যোগ দিলে তার চাকরি আর থাকছে না।

মূলত মেসি যেই ক্লাবে থাকেন, সেখানে তাকে ঘিরেই তৈরি হয় পরিকল্পনা। এছাড়াও বিশ্বকাপজয়ী এই তারকার সুবিধা-অসুবিধায় থাকে বাড়তি প্রাধান্য। সে কারণেই ফিল নেভিলের জায়গায় যে অন্য কাউকে আনা হবে তা ভালো করেই জানা ছিল মায়ামির এই সাবেক কোচের।

তবে মেসির আগমনকেও খুব একটা দোষ দিতে চান না সাবেক এই ইংলিশ ডিফেন্ডার। নিজের শেষ ১৩ ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচে জয় নিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। চাকরি থেকে বাদ পড়াটাও তার জন্য স্বাভাবিকই ছিল। তবে সেখানে মেসির প্রভাবটাও একেবারেই উড়িয়ে দেননি মায়ামির এ সাবেক কোচ।

সম্প্রতি ফিল নেভিল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এ তথ্য। তিনি বলেন, আমার বেশ গভীরভাবেই মনে হচ্ছিল, মেসি যদি এই ক্লাবে আসে, তবে আমি থাকতে পারবো না। এটা এমন না যে, আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। বলতে গেলে, একেবারেই ভিন্ন কিছু। বিষয়টা গনজালো হিগুয়েইন কিংবা ব্লেইস মাতুইদিকে দলে ভেড়ানোর মতো ব্যাপার নয়। আপনি যদি বিশ্বব্যাপী তাকান তবে দেখবেন, মেসি যে ক্লাবেই ছিল তাকে সামলানোর জন্য আলাদা কোচ ছিল।

তবে তার চাকরি হারানোর দোষ পুরোপুরি মেসিকে দেননি নেভিল। মায়ামিতে কোচ হিসাবে তার ধারাবাহিক ব্যর্থতাকেও দোষ দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন বছরের জন্য ক্লাবটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাতে পরাজয় ছিল ৫০ শতাংশের বেশি ম্যাচে।

ফিল নেভিল বলেন, মেসির কথা বাদ দিন, আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে চাকরির শেষ মাসে ক্লাবের পারফরমেন্স ভালো ছিল না। আর আমি তা জানতাম। এ কারণেই আমি ক্লাব ছেড়েছি। আমি জানি ক্লাব কী চায়। আমি লম্বা সময় ধরে ফুটবলের সঙ্গে আছি এবং কখনও কখনও এখানে ভাগ্যের সহায়তা থাকে না। আমি তিক্ত, অসন্তুষ্ট বা রাগান্বিত নই। তারা (ইন্টার মায়ামি) অবিশ্বাস্য রকম সততা দেখিয়েছে আমার সঙ্গে।

ডেভিড বেকহ্যাম ও ফিল নেভিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে একসাথে মাঠ মাতিয়েছেন। প্রিয় বন্ধু বেকহ্যাম নিজের ক্লাবে কোচের দায়িত্ব ফিলকেই দিয়েছিলেন। তবে ক্লাবের দুরাবস্থার অবসান ঘটাতে মেসিকে না আনলেও হয়তো বন্ধু ফিল নেভিলকে ক্লাব থেকে বিদায় বলতেই হতো বেকহ্যামের।

/আরআইএম