ঢাকায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলা চলাকালীন এবং ম্যাচ শেষে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে সমালোচিত হয়েছিলেন ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। শুধু সমালোচনাই নয়, সেই আচরণের জন্য দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এবং ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানাও করা হয় তাকে। তবে সেই ঘটনার জন্য তার মাঝে কোনো অনুশোচনা নেই বলে জানিয়েছেন হারমানপ্রীত। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর।
গত ২২ জুলাই, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে দু’টি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের বিরুদ্ধে। প্রথমে আউট হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙেন তিনি, এরপর আম্পায়ারকে কিছু একটা বলতে বলতে ছেড়ে যান মাঠ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওই ম্যাচের আম্পায়ারিংকে ‘প্যাথেটিক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরে আসার আগে বাজে আম্পায়ারিং সামলানোর প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন বলেও মন্তব্য করেন হারমানপ্রীত। যা আইসিসির আচরণবিধির লেভেল–২ পর্যায়ের অপরাধ। এছাড়া, ম্যাচের পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের সাথেও তার আচরণ ছিল দৃষ্টিকটু।
দেশ বিদেশের সাবেক বর্তমান ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সমালোচনা হজমের পর জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা গুনতে হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ককে। তবে সে সবের কোনো প্রতিফলন পাওয়া যায়নি তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে।
দ্য ক্রিকেট পেপার‘র কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে হারমানপ্রীত কৌর বলেন, আমি বলবো না যে সেদিনের ঘটনা নিয়ে আমার মধ্যে কোনো অনুশোচনা আছে। কারণ, দিন শেষে একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি চাইবো সবকিছু যেন বৈধভাবেই হয়। খেলোয়াড় হিসেবে আপনার সব সময়ই নিজেকে প্রকাশ করা ও কেমন বোধ করছেন তা বলার সুযোগ থাকা উচিত। আমি মনে করি না যে, সেদিন কোনো খেলোয়াড় কিংবা ব্যক্তির প্রতি ভুল কোনো কথা বলেছি। মাঠে কী ঘটেছিল কেবল তা নিয়েই বলেছি। আমার কোনো অনুশোচনা নেই।
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান গেমস টি-টোয়েন্টিতে ভারতের প্রথম দুইটি ম্যাচে বাইরে থাকতে হবে হারমানপ্রীতকে। বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ এ সম্পর্কে বলেছিলেন, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি এবং ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট ভিভিএস লক্ষ্মণ এ ঘটনা সম্পর্কে হারমানপ্রীতের সাথে কথা বলবেন।
/এম ই
Leave a reply