তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ইস্যুতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পক্ষভুক্তির আবেদন খারিজ

|

গণমাধ্যমসহ সব মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হতে চাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এ আদেশ দেন। তবে আজও এজলাসে বাক-বিতণ্ডা হয়েছে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে।

মূলত তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞার রুলে বিটিআরসির লিখিত জবাব দেয়া ও শুনানির কথা ছিল বৃহস্পতিবার। তবে শুনানির শুরুতেই তারেক রহমানের পক্ষভুক্ত হতে আবেদন জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সাবেক আটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গেসঙ্গেই আবেদনের বিরোধিতা করেন রিটের পক্ষের আইনজীবীরা। এসময় একে-অপরের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করেন তারা। ফলে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে আদালত তাদের থামিয়ে পক্ষভুক্তের আবেদন গ্রহন করবেন কিনা সেই শুনানির নির্দেশ দেন।

শুনানিতে আবেদনের পক্ষে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, যেহেতু জনস্বার্থে মামলা হয়েছে এবং জনগুরুত্বপূর্ণ তাই এবিষয়ে গণশুনানির দাবি রাখে। এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইন সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, এটিকে জনস্বার্থে বলা হলেও মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণেই এই ধরনের মামলা দেয়া হয়েছে। এই অর্ডারের বিরুদ্ধে আমরা এই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবো, সেই পর্যন্ত যাতে এক তরফাভাবে শুনানি না করা হয় সেই বিষয়ে আমরা মাননীয় আদালতের প্রতি অনুরোধ রেখেছি।

এদিকে, আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বিরোধীতা করে বলেন, পলাতক আসামির জন্য এভাবে পক্ষভুক্ত হতে চাইতে পারেন না কেউ। প্রয়োজনে এমিকাস কিউরি গঠন করবেন আদালত। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলছেন, পলাতক আসামির হয়ে আদালতে কোনো কথা বলা যায় না, এটি আন্তর্জাতিকভাবে আইনসিদ্ধ যা তারাও জানে। ফলে তারেক রহমানের হয়ে পক্ষভুক্ত হতে চাওয়ার আবেদনের মাধ্যমে তারা পলাতক আসামির হয়ে ওকালতি করার চেষ্টা করেছিল।

শুনানির এক পর্যায়ে, বিএনপির আইনজীবীরা আপিল বিভাগের এক বিচারপতির শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বক্তব্যের ইস্যুটি উত্থাপন করলে, বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি নিজেই সেটির ব্যাখা দিয়ে থামিয়ে দেন তাদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply