বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের গোপন নথি নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক ১৪ খণ্ডের বইয়ের প্রথম খণ্ডের (১৯৪৮-১৯৫০) মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার বিকালে গণভবন প্রাঙ্গণে বইটির প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অমূল্য এসব ডকুমেন্ট দেশ, জাতি ও বর্হিবিশ্বে পৌঁছে দেয়ার প্রয়াসে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক ১৪ খণ্ডে বই আকারে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় ভাষা আন্দোলনসহ বাঙালির স্বাধীনতার ধারাবাহিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত বইয়ের প্রথম খণ্ডের আত্মপ্রকাশ হলো আজ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন এই গ্রন্থ তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে সত্য জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জাতির জনকের অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চাদপদ বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিলো উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে আদর্শ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। করে যাবে আগামীতেও।
এ সময় তিনি গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা নিয়ে বক্তব্য দেন। সরকারপ্রধান বলেন, গণতন্ত্রের যেমন একটা নীতিমালা আছে, তেমনি সাংবাদিকতারও নীতিমালা আছে। সেই বিষয়ে সবাইকে মনে রাখতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা। ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
এছাড়া প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply