মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে ডাবের আড়তে অভিযান ভোক্তা অধিকারের

|

মধ্যরাতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান।

মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারের ডাবের আড়তে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে কয়েকজন আড়তদারকে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে হয় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই অভিযান। কারওয়ান বাজারের ডাবের আড়তে গিয়ে জানা যায়, আকারভেদে সবচেয়ে বড় সাইজের ডাবও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করলে মুনাফা থাকে ব্যবসায়ীদের। অথচ আড়ত থেকেই তা বিক্রি হচ্ছে ১২০/৩০ টাকা দরে।

বিপরীতে আড়তদারদেরও রয়েছে নানা যুক্তি। একজন আড়তদার বলেন, গাড়িভাড়ার পেছনে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আমরা দাম না বাড়িয়ে যাব কোথায়? আরেকজনের বক্তব্য, বাজার অনুপাতে ডাব বিক্রি করছি আমরা। মোকামে ডাবের দাম ঊর্ধ্বগতি। তারা যে রেটে আমাদের বলে দেয়, সেই অনুপাতে আমরা বিক্রি করে থাকি।

পাইকারি দরে ডাব কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের নির্ধারণ করা দামেই কিনতে হচ্ছে ডাব। অভিযান শেষে আবারও আগের দামেই বিক্রি হবে ডাব। একজন খুচরা ব্যবসায়ীর বক্তব্য, ডাবের দাম বাড়লে ওই দামেই আমাদের কিনতে হয়। আমাদের তো কিছু করার থাকে না। কারণ, আমরা ডাব ব্যবসাটাই পারি।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে পুঁজি করে হুট করেই বাড়ানো হয়েছে ডাবের দাম। ক্রয়রশিদ না দেখানো ও বিক্রয়মূল্য না টানানোয় করা হয় জরিমানা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, বিক্রেতারা যে ১২০ টাকা দিয়ে ডাব বিক্রি করছেন, তার প্রমাণ তাদের কাছে নেই। ক্যাশমেমো নেই। ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রও দেখাতে পারছেন না তারা। মূল্যতালিকা প্রদর্শন করার বিধানও মানছেন না। ফলে ভাসমান অবস্থায় এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।

নগরীর খুচরা পয়েন্টগুলোতেও নজরদারির কথা জানান তিনি। তবে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply