হাঙ্গেরিতে অভিনব প্রতিযোগিতা, স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়!

|

দাম্পত্য জীবন মানে কি শুধুই সংসার আর রান্নাঘর সামলানো? একঘেয়ে জীবনে বৈচিত্র খুঁজে পেতে মানুষ কত কিছুই না করে। দম্পতিদের নিয়ে তাই ভিন্নধর্মী এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো হাঙ্গেরি। স্ত্রীদের কাঁধে নিয়ে দৌড়েছেন ১৫ জন স্বামী। পাড়ি দিয়েছেন ২৬০ মিটার বন্ধুর পথ। বিজয়ী দম্পতিদের দেয়া হয় পুরস্কারও। খবর রয়টার্সের।

বলা হয়, বিয়ের পর স্ত্রীর সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন স্বামী। হাঙ্গেরিতে রীতিমতো স্ত্রীকেই কাঁধে তুলে নিয়েছেন স্বামীরা। যদিও তা শুধুই খেলার অংশ।

ব্যতিক্রমী ও উদ্ভট এই দৌড় প্রতিযোগিতার নাম ওয়াইফ ক্যারিং রেস। যেখানে নিয়ম হচ্ছে, বউকে কাঁধে নিয়ে দৌড়াতে হবে নির্দিষ্ট পথ।

চতুর্থবারের মতো হাঙ্গেরিতে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। ১৫ দম্পতিকে ২৬০ মিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। তীব্র গরমে যেখানে ছিলো কর্দমাক্ত পথসহ নানা বাধা -বিপত্তিও। একের পর এক প্রতিবন্ধকতা পাড়ি দেয়ার এই প্রতিযোগিতা যেন দু’জনের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করেছে। বিজয়ীরা পান নগদ অর্থ ও মেডেল।

অনুভূতি জানতে চাইলে খেলার বিজয়ী ভিতাউতাস কিরক্লয়াউস্কাস বলেন, অসাধারণ অনুভূতি। আশাকরিনি জিতবো। এখানে অনেক প্রতিযোগী ছিলো, তারা বেশ শক্তিশালীও। আমার স্ত্রীর জন্যই পেরেছি। সে পারফেক্ট। তাকে ছাড়া এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিলো না।

আরেক প্রতিযোগী তিমিয়া সেয্রঙ্কা। তিনি হয়েছেন তৃতীয়। জানতে চাইলে বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি। আশাকরিনি পদক পাওয়াদের একজন হবো। লিথুয়ানিয়ার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নরাও এতে অংশ নিয়েছিল। খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। জিতে খুশি আমি।

বিশ্বজুড়ে, অবশ্য আরও বেশকয়েকটি দেশেই দেখা যায় অভিনব এই আয়োজন। আয়োজকদের দাবি, বাকিদের চেয়ে হাঙ্গেরির এই প্রতিযোগিতা বেশ চ্যালেঞ্জিং।

স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়ানোর প্রতিযোগিতার ইতিহাস অবশ্য বেশ পুরনো। এর প্রচলন হয়েছিল ভাইকিংদের যুগে। নব্বইয়ের দশকে নতুন করে তা আবারও শুরু হয় ফিনল্যান্ডে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply