বেশ কিছুদিন আকালের পর অবশেষে চট্টগ্রামে ধরা পড়ছে ইলিশ। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে ফিশারিঘাটসহ অন্যান্য মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। কিন্তু জেলেদের দাবি, বিগত মৌসুমগুলোর তুলনায় এই ইলিশ বেশি নয়। সেই সাথে ট্রলার ভাড়া-জ্বালানিসহ সব কিছুর দাম বাড়তি। তাই জাতীয় মাছের দর এখনও বেশ চড়া।
জেলেরা বলছেন, এখন মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও লাভের খাতা দেখে খুব বেশি সন্তুষ্ট নন তারা। দাম যা নির্ধারণ করা হচ্ছে, তাতে অনেক ক্ষেত্রে খরচই ওঠে না। অনেক মাছ ধরার নৌকাকে আবার ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই। তবে বেশ কিছু দিন সংকটের পর এখন কিছুটা মাছের মুখ দেখায় খুশি জেলেরা।
এদিকে, ভোর থেকেই সরব হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট। বোট থেকে নামার পর নিলামে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়। এরপর এগুলো চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এখন বড় আকারের ইলিশ মণপ্রতি ৫০ থেকে ৫৬ হাজার টাকা, মাঝারি ইলিশ ৩২ হাজার থেকে ৩৬ হাজার, আর ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার ২৮ হাজার টাকায়।
সাগরে মাছ ধরে প্রতিদিন চট্টগ্রামের ফিশারীঘাটে ভিড়ে অন্তত ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রলার। জেলেদের দাবি, কয়েকদিন আগে অতিবৃষ্টির কারণে সাগরের গভীরে চলে যাওয়ায় মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ। তা ছাড়া সাগরও এখন বেশ উত্তাল। ফলে সব মিলিয়ে খুব বেশি লাভের মুখ দেখছেন না তারা। অবশ্য আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সামনের পূর্ণিমার জো’তে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা জেলেদের।
চট্টগ্রামের ফিশারীঘাট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল সরকার বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আর সাগর উত্তাল থাকায় এখন পর্যন্ত মাছ কম। তবে আশা করা যাচ্ছে, সামনের কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি কমলে এবার প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে।
এসজেড/
Leave a reply