‘অধিনায়ক’ সাকিব গাইছেন তারুণ্যের বন্দনা

|

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ব্যাক ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন তামিম ইকবাল। বাড়তি ওজন নিয়ে রিহ্যাবের প্রথম ধাপ সম্পন্ন করার পর ব্যাটিং শুরু করেছেন এই ওপেনার। ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার কথা এই ওপেনারের। আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিস্থিতিটা ভিন্ন। ইনজুরি নয়, বিশ্রাম বলে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হলেও পরে পরিস্কার হয় ফর্মহীনতায় রিয়াদে আস্থা হারিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে রিয়াদ থেমে নেই। তিনিও পরিশ্রম করছেন নিজেকে প্রমাণ করে আবারো জাতীয় দলে ফিরতে।

এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি ভিন্ন। কিন্তু তাদের নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনা কী? অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রেস কানফারেন্সে দুজনকে নিয়ে দিয়েছেন পরিস্কার ইঙ্গিত। শনিবার (২৬ আগস্ট) প্রেস কানফারেন্সে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাপ্তান বলেন, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু দলের প্রয়োজনে কতটা কার্যকরী, সেটা সবচেয়ে জরুরি।

সাকিব তার চাওয়া-পাওয়া নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখেন। সাকিব বহুবার বলেছেন, দলে টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করতে হবে। সেই পারফরম্যান্স হতে হবে টিম প্ল্যান অনুযায়ী। এখানে বয়স কোনো বাধা নয়। সিনিয়র হোক বা জুনিয়র, কেউ যদি দলের পরিকল্পনা মাফিক ‘কার্যকরী’ পারফর্ম করতে না পারে, তাহলে তার বাদ পড়াটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখেন দলনেতা। আর এই বিষয়গুলোই তাকে করেছে অন্যদের চেয়ে আলাদা।

বাংলাদেশ দলে এই মুহূর্তে আছে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল। সাকিব, মুশফিক, লিটন, তাসকিন, মোস্তাফিজদের মতো অভিজ্ঞদের সাথে আছে যুব বিশ্বকাপজয়ী তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, শামিম পাটোয়ারি, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। এই তরুণদের নিয়ে খুব আশাবাদি সাকিব। এদের মানসিকতাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ওরা যেহেতু বিশ্বকাপ (অনূর্ধ্ব ১৯) জিতেছে, ওদের ভেতর উইনিং মেন্টালিটি রয়েছে। ওরা সবসময় জিততে চায়, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মানসিকতা দলকে আরও ভালো কিছু করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিবের এই কথায় সম্ভবত দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো যায়। অভিজ্ঞদের চেয়ে এখন তারুণ্যের অফুরন্ত প্রাণশক্তিতেই আস্থা রাখতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply