আফ্রিকায় একের পর এক দেশে সামরিক অভ্যুত্থান, নেপথ্যে কি বিদেশি হস্তক্ষেপ?

|

=রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বিপর্যস্ত আফ্রিকার একের পর এক দেশ। চাদ, মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের পর এবার সামরিক অভ্যুত্থানের শিকার গ্যাবন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আফ্রিকার দেশগুলোর রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ চলে আসছে। অঞ্চলটির দীর্ঘমেয়াদি নানা সংকটের কারণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে বিদেশি হস্তক্ষেপ। তারই প্রতিক্রিয়ায় একের পর এক দেশে অভ্যুত্থান ঘটছে। খবর আল জাজিরার।

গত ৩ বছরে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার নয় দেশে সামরিক অভ্যুত্থান কিংবা অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়েছে। মূলত ৬০ ও ৭০ এর দশকে স্বাধীনতা লাভ করে আফ্রিকান অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশ। পুরো অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ বার অভ্যুত্থান হয়েছে। এরমধ্যে কোনোটি স্বল্পস্থায়ী আবার কোনোটি দীর্ঘস্থায়ী।

ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোর হস্তক্ষেপ এবং দুর্নীতিকে এর কারণ উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক থমাস বোরেল বলেন, নাইজার, মালি, বুরকিনা ফাসোসহ আফ্রিকার দেশগুলোয় ফ্রান্সের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। দেশগুলোর যে অস্থিতিশীলতা তার অন্যতম কারণ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষোভ। যেমন গ্যাবনের কথাই ধরুন। সেখানকার বেশিরভাগ দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত ফরাসি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর এসব দুর্নীতিকে সহায়তা করছে একটি মাত্র পরিবার যারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছে।

আফ্রিকা সেন্টার অব ফ্রান্স ইনস্টিটিউটের গবেষক ফ্রাসোয়া গিলমে বলেন, নাইজার, গ্যাবন সবক্ষেত্রেই অভ্যুত্থানের ধরন প্রায় একইরকম। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীই অভ্যুত্থান করছে। কারণ প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডই সবচেয়ে ক্ষমতাধর। মজার বিষয় হলো, ফ্রান্স সরকার এসব অভ্যুত্থানের সমালোচনা করছে এই বলে যে, তাতে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যহত হচ্ছে। অথচ এসব সরকার টিকে আছে বছরের পর বছর ধরে সাজানো নির্বাচন করে।

এ অবস্থায় জাতিসংঘ বলছে, আফ্রিকা অঞ্চলে চলমান নানামুখি সংকট সমাধানে গণাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিকল্প নেই।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply