বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন মানুষের ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়, ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেই তাদের জন্মই হয়েছিল। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই— এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তাই ছাত্রলীগের সবাইকে অতন্ত্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ গেলে উন্নয়ন সম্ভব হয় না। খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ শিক্ষার্থীদের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে তার রাজনীতি নিজের ভাগ্য গড়তে নয়। দেশে যাতে কোনো মানুষ ঠিকানাহীন ও ভূমিহীন না থাকে, সেজন্য আওয়ামী লীগ আশ্রয়ণ প্রকল্প চালু করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, উন্নয়নে বিশ্বাস করে বলেই দেশের মানুষ পরপর তিনবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল।
হিলারি ক্লিনটনের কথা শুনেই পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, বাংলাদেশ নিজ উদ্যোগে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে এর জবাব দিয়েছে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগই এ দেশের সব সংকটে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে গর্বে আমার বুক ভরে যায়। শহীদের খাতায় নাম দেখতে চাইলে দেখবো- ছাত্রলীগই বুকের রক্ত দিয়ে সব সংগ্রামে ছিল। এমনকি ৭৫ এর পরে ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে। বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সক্রিয় ছিল, অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। যদি তারা আদর্শ নিয়ে চলতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের-ও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভোট চুরি ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে: কাদের
/এমএন
Leave a reply