জোড়া সেঞ্চুরিতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

|

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হাসান শান্ত’র জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ দাড় করায় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, এর আগে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৬ রান করেছিল টাইগাররা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন নাইম। শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হন নাইম। একের পর এক বাউন্ডারিতে রান তুলতে থাকেন দ্রুত। তার ব্যাটে ভর করেই ৭.৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। যদিও পাওয়ার প্লের শেষ বলে নাইমকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মুজিব উর রহমান। ৩২ বলে ৫টি চারে ২৮ রান করেন তিনি। ৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি নাইমের ক্যারিয়ার সেরা। 

ছবি: সংগৃহীত

এরপর থিতু হতে পারেননি ওয়ান ডাউনে নামা তাওহিদ হৃদয়। তিনি আউট হয়েছেন কোনো রান করার আগেই। গুলবাদিন নাইবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অফ সাইডে ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন হৃদয়। তবে তা ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় ফার্স্ট স্লিপে। সেখানে এক হাতে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ইব্রাহীম জাদরান। ৬৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

ছবি: সংগৃহীত

৬৩ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের ব্যাটে ভর করেই দলীয় ১০০ পার হয় বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে জুটিরও হাফ সেঞ্চরি পূরণ করেন তারা। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৬৫ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩য় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ।

১১৭ বলে মিরাজ-শান্ত জুটির সেঞ্চুরি পূরণ হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে দেড়শ রানের গণ্ডিও। খানিক বাদে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৫৭ বলে শান্ত। ফজলহক ফারুকির লেংথ বলে স্কয়ার দিয়ে পুল করে ছক্কা মেরে টানা দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

ছবি: সংগৃহীত

গুলবাদিন নাইবের বলে মিড অনে ঠেলে দিয়েই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ১১৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে ফেরেন মিরাজ। অন্যপ্রান্ত, মুজিবের বলে লং অনে পাঠিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা শান্ত। ১০১ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ম্যাজিক্যাল থ্রি ফিগার স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

সেঞ্চুরির পর শান্তকে রানআউট হয়ে ফিরতে হয়। রিভার্স সুইপ করেই দৌড় দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ঘুরে আবার ফিরে আসতে গিয়ে পিচের উপর পিছলে যান, ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবেই ফিরতে হয় তাকে। ১০৫ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা সাহায্যে ১০৪ রান করেন শান্ত।

দারুণ খেলতে থাকা মুশফিককেও ফিরতে হয়েছে রানআউট হয়ে। ১৫ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা শামীম হোসেন ক্রিজে এসে নিজের খেলা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। ডিপ ফাইন লেগে তার সেই ‘ট্রেড মার্ক’ শটে। পরবর্তীতে সাকিব-শামীম মিলে আরও ২৯ রান যোগ করেন দলের খাতায়। শামীমও ৬ বলে ১১ রান করে রানআউট হয়ে ফিরলে, আফিফ হোসেন সাকিবকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দেন। অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৮ বলে ৩২ রান।

আফগানদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন গুলবাদিন নাইব এবং মুজিব উর রহমান।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply