খোলাবাজারে ডলার উধাও!

|

রিমন রহমান:

খোলাবাজারে হাহাকার চলছে ডলারের। কয়েকদিন ধরেই বাজারে চলছে নৈরাজ্য। ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি হচ্ছে ডলার। খোলাবাজারে ডলারের দাম উঠেছে ১১৮ টাকা পর্যন্ত। যদিও দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১১৩ টাকা। এ অবস্থায় অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইতোমধ্যে সিলগালা করা হয়েছে দিলকুশার স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ। বেশি দামে ডলার বিক্রির অভিযোগে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধু স্ট্যান্ডার্ডই নয়, দিলকুশার আরও কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রমও এখন বন্ধ। এরপর ভয়ে ব্যবসায়ীরা ডলার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে প্রয়োজন হলেও ডলার কিনতে পারছে না মানুষ।

ডলার ক্রয় করতে আসা এক যুবক বললেন, পুরো মতিঝিল ঘুরা শেষ। এখন যাত্রাবাড়িতে খুঁজছি। কোথাও ডলার পাচ্ছি না। দুইটা ব্যাংকেও গেলাম, সেখানে বলা হলো এখন ডলার হবে না।

রাজধানীর দোহার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমরা তো ডলার পাই না। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ডলার কিনতে হয় ১১০ টাকা ৭৫ পয়সায়। কিন্তু এই দামে তো আমাদের কেউ ডলার দেয় না। যারা বিদেশ থেকে আসে তাদের কাছ থেকে ডলার কিনি। আবার যারা বিদেশে যাবে তাদেরকে পাসপোর্টের মাধ্যমে ডলার বিক্রি করি।

চাহিদার চেয়ে ডলারের সরবরাহ কম। অভিযোগ করা হয়, ব্যাংকগুলো ঠিকমতো ডলার সরবরাহ করছে না। ফলে খোলা বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এম এস জামান বলেন, কেনাবেচা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদেরকে তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এরমধ্যে আমরা ডলার কিনতে না পারলে কোথায় থেকে বিক্রি করবো?

তবে, সংকটের সুযোগও নিচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। ডলার ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকায় মাশুল দিচ্ছে সবাই।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, যখন অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ডলারের সরবরাহ কমে যায়। এটা শুধু বাংলাদেশ না, সারা পৃথিবীতেই হয়। তখন সংকটটা আরও ঘনীভূত হয়ে যায়। আমরা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানে দেখেছি; এখন বাংলাদেশে দেখতেছি। কাজেই, আমাদের চেষ্টা করতে হবে এর থেকে বেরিয়ে আসার। কিন্তু আমরা তা করিনি।

এদিকে, ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। আমদানিকারকদের কাছে ডলারের বিক্রিমূল্য এখন ১১০ টাকা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply