ডেঙ্গুতে নারী মৃত্যুহার বেশি

|

মুন্নী, ঢাকার মধ্য বাড্ডার বাসিন্দা। গত ৭ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন, একই সঙ্গে রয়েছে শরীর ব্যথা ও দুর্বলতা। স্বাভাবিক জ্বর মনে করে গুরুত্ব দেননি। কোনো টেস্টও করাননি। ভরসা করেন মোড়ের দোকানের ওষুধেই। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন চিকিৎসকরা।

মুন্নীর মতো রাজধানীর বাসিন্দা মাহিনুর ও জোছনার গল্পও একই। মূলত পরিবারের প্রতি দায়িত্ব, স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলার কারণে অনেক নারীই চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন দেরিতে। আর তাতে মৃত্যুও বাড়ছে।

গত ২৭ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তদের নিয়ে গবেষণা করে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। তাতেই উঠে আসে নারী মৃত্যু হার বেশি। এই ৭ দিনে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৮১ জন। যার ৬৪ শতাংশই নারী।

দেরিতে শনাক্ত, অসুস্থতাকে কম গুরুত্ব দেয়া এবং প্রয়োজন মতো বিশ্রাম না নেয়ার ফলেই এই হার বেড়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভের শিশুর ঝুঁকি বেশি। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা মাথায় রেখে যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন বলেন, অসুস্থতা প্রকাশ ও শনাক্তের ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে থাকে। ফলে জটিল অবস্থায় তারা চিকিৎসকের কাচ্ছে যাচ্ছে। গ্রামের কমিউনিটি হাসপাতালের মতো শহরের ওয়ার্ড পর্যায়েও টেস্ট থাকা উচিত। নারী-পুরুষ যে কেউ যেন পরীক্ষা করতে আসেন।

পরিবারের সবার খেয়াল রাখা অপরিহার্য এই মানুষটি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে, অবহেলা না করে, সচেতন হতে হবে সবাইকে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply