চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজ ইজিবাইক চালকের দেহবশেষ ১৮ দিন পর চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঘোড়ামারা ব্রিজ এলাকার সড়কের পাশের ঝোপ থেকে তার দেহের হাড় ও মাথার চুল উদ্ধার করা হয়।
পরে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক সবুজ মন্ডলকে শনাক্ত করেন তার পরিবারের স্বজনরা। আটক ৩ আসামীর স্বীকারোক্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
নিহত সবুজ মন্ডল কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাচ্চু মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ আগস্ট কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড় থেকে ইজিবাইকসহ নিখোঁজ হন সবুজ মন্ডল। পরদিন তার মা রেহেনা খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি-পুলিশ) বিষয়টি তদন্ত করে সন্দেহভাজন কুষ্টিয়া সদর থানার ত্রিমোহনী বারখাদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জনি হোসেন (২৮), একই থানার কানাবিল বারাদি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে তুষার ইসলাম (২১) ও মিরপুর থানার চারুলিয়া গ্রামের সারোয়ার প্রামাণিকের ছেলে বাচ্চা প্রামাণিককে (২৬) আটক করে।
আটক তিনজন আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালায় কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। এ সময় আসামীদের দেখানো স্থান থেকে নিখোঁজ সবুজের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। লাল গেঞ্জি ও লুঙ্গি দেখে সবুজের মরদেহ বলে সনাক্ত করেন তার পরিবারের লোকজন।
সবুজের চাচা রাশিদুল জানান, সবুজ নিখোঁজ হওয়ার দিন লাল গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরনে ছিল। লাল গেঞ্জি ও লুঙ্গি দেখে সবুজের লাশের কঙ্কাল সনাক্ত করেন।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আব্দুল খালেক জানান, ইজিবাইক ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া শহরের রেনউইক বাঁধে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় চুয়াডাঙ্গায়। আসামীদের স্বীকারোক্তিতে সেই লাশের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান, নিহত ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে।
এটিএম/
Leave a reply