আজ ৮ সেপ্টেম্বর উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মবাষির্কী। ১৮৮২ সালের আজকের এই দিনে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির মেদিনীপুরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তার বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের একজন খ্যাতনামা বিচারক জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। মাতা খুজাস্তা আকতার বানু নামকরা উর্দু সাহিত্যিক। তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যলয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন এবং আইন পেশায় নিয়োজিত হোন।
চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে পা রাখেন সোহরাওয়ার্দী। তিনি কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন ১৯২৪ সালে। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৪৬ সালে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাশিমের নেতৃত্বে ।
পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ থেকে ১৭ অক্টোবর ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্বে বহাল ছিলেন। ১৯৫৬ সালে চৌধুরী মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পর তিনি পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
৫ ডিসেম্বর ১৯৬৩ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে একটি হোটেলে খ্যাতিমান এই রাজনীতিবিদ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকায় শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
Leave a reply