বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে আছেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে ফেরাতে দু’দেশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আইনি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
ঢাকা-লন্ডন পঞ্চম কৌশলগত সংলাপে অংশ নিতে ঢাকায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন। দুপুরে প্রতিনিধি দল নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পৌঁছান তিনি। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সাথে সাড়ে তিন ঘণ্টার মতো চলে এই সংলাপ। সে সময় যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে ও দণ্ডপ্রাপ্তদের ফেরাতে একটা পদ্ধতি বের করার ব্যাপারে একমত হয় দু’পক্ষই।
প্রশ্ন আসে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে। তাকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আলোচনার কথাও জানান পররাষ্ট্র সচিব। জানান, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে যুক্তরাজ্যে আছে। যুক্তরাজ্য এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই দেশের মধ্যে থাকা বন্দী বিনিময় চুক্তি দুই দেশ পর্যালোচনা করে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ফেরানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এবারের সংলাপে ছিল বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার চাইলে যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে গেছেন ফিলিপ বার্টন। বাংলাদেশে সুষ্ঠু, অবাধ, সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাওয়ার কথাও বলেছে ব্রিটেন।
পাশাপাশি মানবাধিকার পরিস্থিতি, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সংলাপে। কোনো প্রশ্ন না নিলেও ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি বৈঠককে ফলপ্রসূ আখ্যা দেন। সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার একক দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথেও তা নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ।
Leave a reply