তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব নির্বাচিত হলেন শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার। দুই জনই বিএনপির সাবেক নেতা।
এরমধ্যে শমসের মবিন চৌধুরী ২০১৫ সালের অক্টোবরে হঠাৎ করেই বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিকল্প ধারা বাংলাদেশে যোগ দেন। অন্যদিকে, ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেয়ায় তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রতিষ্ঠার ৮ বছরে এসে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। তাতেই দলটির নেতৃত্বে এলেন এই দুই নেতা। কাউন্সিলে নির্বাহী সভাপতি হয়েছেন অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কন্যা।
২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সেখান থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর ২০১৫ সালে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত এই দলের প্রতীক সোনালি আঁশ।
তৃণমূল বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, এটা কিংস পার্টি নয়, পিপলস পার্টি। আর তৈমূর আলম খন্দকার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়েছেন।
দলটির কাউন্সিলে ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন কে এ জাহাঙ্গীর মজুমদার, মেজর (অব.) ডা. হাবিবুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ফরহাদী, দীপক কুমার পালিত, মেনোয়াল সরকার ও ছালাম মাহমুদ।
এছাড়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন আক্কাস আলী খান। যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ফয়েজ চৌধুরী, তালুকদার জহিরুল হক, রোখসানা আমিন সুরমা।
শামীম আহসান কোষাধ্যক্ষ (ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদা) নির্বাচিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান সিরাজ (বরিশাল), আকবর খান (চট্টগ্রাম)।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন রয়েছে, বিএনপি ভাঙায় এই দল ভূমিকা রাখতে পারে। তৃণমূল বিএনপি প্রতিষ্ঠার আগে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা দুইবার বিএনপি সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। বিএনএফ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট ও বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি গঠন করেছিলেন।
/এমএন
Leave a reply